আজও বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির আভাস

কিছুদিন ধরেই দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণও হচ্ছে কোনো কোনো অঞ্চলে। সীমান্তের ওপারের ঢল ছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে এই বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ শুক্রবারও দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

তবে কমতে পারে তীব্রতা। আর আগামীকাল শনিবার থেকে অনেকটাই কমতে পারে বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছি আমরা। তবে বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও এর তীব্রতা কম থাকতে পারে।

পরের দিন থেকে অনেকটা কমে যেতে পারে বৃষ্টি।’

এদিকে গতকাল সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার ভারি বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বর্ষণ হতে পারে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় বা ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশের সব বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণও হতে পারে। তবে আগামী দুই দিনে (শনিবার ও রবিবার) সারা দেশে বৃষ্টি অনেকটাই কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার থেকে আরো কমতে পারে বৃষ্টি।

গতকালও ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই বৃষ্টি হয়েছে।

বেশ কিছু অঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণও হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল বেশি।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে, ২৭৫ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে এটি অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বর্ষণ। কুমিল্লায় ১৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫টি পর্যবেক্ষণাগারের অন্তত সাতটিতেই অতিভারি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY