রুকাইয়া জাহান চমক
স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
বন্যার শুরু থেকেই বানভাসিদের জন্য চিন্তা প্রকাশ করছেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। একটি টিম নিয়ে বানভাসিদের উদ্ধারেও গেছেন অভিনেত্রী।
রুকাইয়া জাহান চমক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।
এইটা শুধুমাত্র একটা গান না, এইটা জাতিগতভাবে আমাদের পরিচয়। আমরা প্রতিবাদী আমরা বিপ্লবী আমরা হার না মানা নির্ভীক যোদ্ধা।’
দেশকে বাঁচানোর অঙ্গীকার উল্লেখ করে চমক লিখেছেন, “যেকোনো দুর্যোগ, হোক সেটা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট আমরা সেটাকে বুক পেতে হাসিমুখে প্রতিহত করতে পারি। আমরা যেমন রাজপথে দুহাত মেলে বুকে গুলি নিতে পারি, তেমনি বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি।
পৃথিবীর যত বড়ো পরাশক্তিই হোক না কেন, আমাদের ভাসিয়ে দেয়া উজাড় করে দেয়া, নিশ্চিহ্ন করে দেয়া এত সহজ না! কারণ আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে জানি। তাই আপাতত চোখের সামনে অনেক গুলো হাসিমুখ দেখছি, যারা সারাদিন পানির মধ্যে যুদ্ধ করে, দুটো শুকনো টোস্ট আর গুড় খেয়েও প্রাণ খুলে হাসছে, আর প্রস্তুতি নিচ্ছে কালকের যুদ্ধের জন্য। গানটি বার বার বুকে এসে বাঁধছে ‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।”
বন্যার্তদের সাহায্যে চমকের কাজের প্রশংসা করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। একের পর এক মন্তব্য করে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অভিনেত্রীকে।
সেই সঙ্গে নিজ নিজ জায়গা থেকে সাহায্য করার কথাও জানিয়েছেন অনেকে।
স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ফেনীতে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব জেলাগুলোতে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।