বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে ছুটির কথা বলে অফিস ছেড়ে পালিয়েছেন ফরিদপুরের বিতর্কিত সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর সিভিল সার্জনের নিজ কার্যালয়ে ছুটির কথা বলে অফিস থেকে পালান এ সিভিল সার্জন।
এর আগে বুধবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সিভিল সার্জনের অফিসে গিয়ে তার সময়কালের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাখ্যা চান সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমানের কাছে। একই সঙ্গে তার অধীনস্থ ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) গণেশ কুমার আগরওয়ালা, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বজলুর রশিদ ও সিভিল সার্জনের প্রধান সহকারী সরদার জালাল উদ্দীনের পদত্যাগ দাবি করেন। সিভিল সার্জন ছাড়াও ওই তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন একই জায়গায় চাকরি করার অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া রয়েছে নানা সময়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ।
অন্যদিকে সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমানের বিরুদ্ধেও রয়েছে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অবৈধভাবে লাইসেন্স দেওয়াসহ সেখান থেকে অর্থ আদায় ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ।
সিভিল সার্জন পালায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা টিপু বলেন, ‘সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান স্যার দুপুরে আমার ওপর দায়িত্ব দিয়ে ছুটির কথা বলে অফিস ছেড়েছেন।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের (দুদক) উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমরাও তার বিরুদ্ধে নানা সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। কারও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেটা যেন আমাদের লিখিতভাবে দেন। আমরা কমিশনের অনুমোদন নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।