দুটি ম্যাচের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ভূটানে গিয়ে শেষ ম্যাচটি হেরেছে বাংলাদেশ। হারের চেয়েও খেলার ধরণে খুশি নন সমর্থকরা। বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা অবশ্য বলছেন আরেকটু উন্নতি করতে হবে।
থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে প্রথম প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটান সেই একই ব্যবধানে জিতে প্রতিশোধই নিল। হাভিয়ের কাবরেরার দল একপর্যায়ে ড্রয়ের লক্ষ্যে খেলতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক দলকে আর আটকে রাখতে পারেনি। যোগ করা সময়ে বদলি নামা ভূটানি ফরোয়ার্ড কিংমা ওয়াংচুং জাল খুঁজে নিলে বাংলাদেশের সঙ্গী হয় এক গোলের হারের বিষাদ।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে কাবরেরা বলেছেন,’এখানকার ভালো কন্ডিশনে আমরা প্রস্তুতি নিতে পেরেছি।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার মতো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে খেলাও দলের জন্য ভালো। আমার কাছে, সবসময় খেলার মধ্যে থাকা দলের জন্য ভালো এবং সব উইন্ডোতে আমাদের এই লক্ষ্য থাকে। এখন আমাদের খেলায় আরেকটু উন্নতি করতে হবে।’
প্রথম ম্যাচ হারায় আজ জয়ের জন্য মরিয়া ছিল ভূটান।
শুরু থেকেই বাংলাদেশের রক্ষণে হানা দেয় দলটির ফরোয়ার্ডরা। তবে গোল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময় পর্যন্ত। কাবরেরা আরও বলেছেন,’আজ আমরা ফাঁকা জায়গা কাজে লাগাতে পারিনি, এটা স্বাভাবিক বিষয়। কখনো কখনো আমরা গোল করতে পারি…যদি গোল নাও করতে পারি, তাহলে আমরা ভালোভাবে রক্ষণ সামলাই, যেটা দ্বিতীয়ার্ধে করতে সমর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু যে গোলটি খেলাম, সেটা হয়ত আমরা আটকাতে পারতাম কিন্তু পারিনি। ঠিক আছে, ফুটবলে এমন কিছু হতেই পারে।
হার মেনে নিতে হয়।’
থিম্পুর উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পাঁচ দিন আগেই ভূটানে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর ফুটবলাররা জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছেন তাঁরা এবং এখন আরও আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আজকের ম্যাচে সেই বিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও ছিল না তপু-জামালদের খেলায়। ভুল পাসের ছড়াছড়ির সঙ্গে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবটাও ফুটে ওঠে। তবে এই সফরটি ইতিবাচক হিসেবেই নিচ্ছেন কাবরেরা,’আমি মনে করি, এটা (সফর) সবার জন্য ইতিবাচক। আমাদের মনে রাখতে হবে, তিন দিন আগেই আমরা একটা ম্যাচ খেলেছি এবং এ ম্যাচের তীব্রতাও (ইনটেনসিটি) ছিল বেশি এবং আবারও বলছি, পরিস্থিতি ছিল আরও বেশি উদ্যোমী হওয়ার, কিন্তু আমরা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিলাম। তারা সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে।’