গতির জন্য আলোচনায় নাহিদ রানা। আর গতির কথা উঠলে বিশ্ব ক্রিকেটে যে দুজনের নাম আসে তারা হলেন শোয়েব আখতার এবং ব্রেট লি। গতি এবং বাউন্সে ব্যাটারদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল পানি ঝরাতেন তারা।
তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন উঠেছে নাহিদও হয়তো শোয়েব-লির মতোই হতে চান।
তবে অন্যদের মনে প্রশ্ন উঠলেও যাকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে তিনি অবশ্য ভিন্ন কিছু ভাবছেন। বাংলাদেশি পেসারের ভাবনা শুধু নিজেকে নিয়ে। অন্য কারো মতো তিনি হতে চান না। নাহিদ রানা হয়েই থাকতে চান তিনি।
এমনটাই জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিসিবির করা ভিডিওতে।
নাহিদের সহজ-সরল উত্তর,‘আমি কারো মতো নই, আমি নাহিদ রানা, নাহিদ রানাই হতে চাই। সত্যি কথা বলতে সেভাবে কাউকে ফলো করি না। তবে বাংলাদেশের সব পেসারদের আমার ভালো লাগে।
কারণ, টিভিতে তাদের খেলা দেখে বড় হয়েছি। সে রকম কেউই একজন না। সিনিয়রদের খেলা দেখেই বড় হয়েছি।’
৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে উইকেট সবে মাত্র ১১ টি। তবে আলোচনায় নাহিদ গতি আর বাউন্স দিয়ে।
পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার পথে দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ২১ বছর বয়সী পেসার। অধিকাংশ সময় ১৫০ কি.মির কাছাকাছি বোলিং করা উদীয়মান পেসার ১৫২ কি.মির গতিতেও বোলিং করেছেন। তবে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ গতি তুলবেন এমনটা মাথায় নিয়ে মাঠে নামেননি তিনি।
গতির বিষয়ে নাহিদ বলেছেন,‘ এটা কখনো অনুভব করিনি, ১৫২ বা এর চেয়ে বেশি জোরে করতে হবে। একটা জিনিসই মাথায় নিয়ে বোলিং করেছি যে, দল আমাকে যে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেই পরিকল্পনায় বোলিং করেছি। আমার নিজের যে পরিকল্পনা ছিল, তা অনুযায়ী বোলিং করেছি।’
পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে সিরিজ হারানো এবং নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নাহিদ বলেছেন,‘স্বপ্নের মতো নয়। আমি যেটা আশা করছিলাম, দল যেটা আমার কাছে আশা করেছিল, তা করতে পেরেছি। দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলাম দেশের জন্য কিছু করতে চাই, তা করতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগতেছে।’
নিজের সেরাটা ভারত সিরিজেই দেওয়ার আশা করছেন নাহিদ। তিনি বলেছেন,‘অবশ্যই ভারত অনেক ভালো দল। তবে দুই দলের মধ্যে ক্রিকেটে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। ম্যাচের মধ্যেই দেখা যাবে। অবশ্যই একটা লক্ষ্য আছে। দলকে আমার সেরাটা দেওয়ার এখনো বাকি আছে। ইনশাআল্লাহ দিবো।’