মেক্সিকোতে ঘূর্ণিঝড় ‘জন’-এর আঘাতে নিহত ২২

ঘুর্ণিঝড় ‘জন’ এর কারণে মেক্সিকোতে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ২২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের খবরটি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷

মেক্সিকোর গেরেরো রাজ্য দেশটির সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অঞ্চলগুলোর একটি৷সেখানেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের জনের৷ভূমিধসের ফলে ১৮ জন সেখানে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম৷

দক্ষিণে ওহাকা অঞ্চলে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে৷নদীর পানিতে ভেসে আরও এক শিশুর মারা যাওয়ার খবর এসেছে মিখোয়াকান রাজ্য থেকে৷

সোমবার গেরেরো রাজ্যের কাছে এসে আরও শক্তিশালী হয় এই ঘূর্ণিঝড় জন৷ তারপর গোটা সপ্তাহজুড়ে দেশটির অন্যান্য অঞ্চলে নিয়ে আসে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধস৷ 

শুক্রবার থেকে স্তিমিত হতে থাকে ঝড়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে৷ 

নৌকা, জেট স্কি ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছে উদ্ধারকাজ৷গত শনিবার সকাল থেকে আবার চালু হয়েছে স্থানীয় বিমানবন্দরের পরিষেবাও৷

এক বছর পেরোবার আগেই আবার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ৷ বন্যার্ত পাড়া থেকে স্থানীয়রা শিশুদের নিয়ে ছোট ডিঙি নৌকা ও ভেলায় চেপে আশ্রয়ের দাবি জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের কাছে৷

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ওটিস নামের ঘূর্ণিঝড় আকাপুলকো অঞ্চলকে তছনছ করে, ৫০ জনেরও বেশি প্রাণ হারান ও কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়৷কিন্তু সেবারের তুলনায় তিনগুণ বৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় জনের সময় এই বছর৷

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইউনো টিভিকে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা জাসমিন বারেরা বলেন, পানি অনেক কমে গেছে আমরা সোমবার থেকে সূর্য দেখতে পাইনি৷ এবার ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হয়েছে৷

শনিবারে গেরেরো ও ওহাকার কিছু অহচলে বৃষ্টি হলেও আকাপুলকো অঞ্চলে পানি কমছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ মানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর একটি টুইট করে বলেন, আশ্রয় শিবির ও অস্থায়ী রান্নাঘর চালু করা হয়েছে৷ সেখান থেকে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে৷সৌভাগ্যক্রমে পানির স্তর নামছে এবং দুর্গতদের সাহায্য পাঠানোর কাজ চলছে৷-ডয়চে ভেলে।

LEAVE A REPLY