প্রতারিত হয়েছি, সিপিএল থেকে বিদায়ের পর রাসেল

সিপিএল থেকে বিদায় মানতে পারছেন না আন্দ্রে রাসেল। ছবি: ক্রিকইনফো

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) থেকে নিজেদের বিদায়টা মানতে পারছেন না আন্দ্রে রাসেল। মানবেন কী করে? এলিমিনেটরের পুরো ম্যাচ হলে চিত্রটা যে ভিন্ন হতে পারত। ফলটা আসতে পারত তাদের পক্ষে।  

কিন্তু গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের ত্রুটির কারণে রাসেলের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে।

বার্বাডোজ রয়েলসের কাছে ৯ উইকেটের হারকে তাই ছিনতাইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

রাসেল লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত ইন্টারনেটে এসে আমার মতামত দিই না, কিন্তু এই বছর সিপিএলে নিজেকে প্রতারিত মনে করছি। আলো নিয়ে যা হলো, সেটাও একটা বড় অরাজকতা; সময়সীমার ঠিক আগে আলো জ্বালানোও অন্যায়।

তারপর ৩০ বলে ৬০ রান করাটাও আরও বড় অন্যায়। আন্দ্রে রাসেল ঠিকই বলেছে, যা অন্যায়, সেটা অন্যায়ই। আমি মনে করি, এটাই চলছে—পুরোপুরি অন্যায়।’

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না নাইট রাইডার্সের।

তবে পরে সিপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল তারা। কিন্তু শেষ ওভারে এসে ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। তখন নাইট রাইডার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৮ রান। পুরানের অপরাজিত ৯১ রানের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ছিলেন ২০ রান করা রাসেল। ৫০৪ রান নিয়ে বর্তমানে শীর্ষ রানসংগ্রাহক পুরান যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিই পেতেন তিনি।কিন্তু ফ্লাডলাইট বন্ধ হওয়ায় ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে।

একটা সময় গুঞ্জন ওঠে ম্যাচ বাতিল হতে পারে। তাতে পয়েন্ট তালিকার উপরে থাকায় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পেত নাইট রাইডার্স। কিন্তু সেটা আর পরে হতে দেযনি ফ্লাডলাইট। পুনরায় চালু হলে ডিএলএস পদ্ধতিতে ম্যাচ আবারও শুরু হয়। বার্বাডোজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ ওভারে ৬০ রান। ডেভিড মিলারের ১৭ বলের ৫০ রানের টর্নেডো ইনিংসে ৯ উইকেটের বড় জয় পায়। জয়ের সঙ্গে কোয়ালিফায়ারের টিকিটও পায় তারা। অন্যদিকে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নাইট রাইডার্সকে। এভাবে বিদায়টা তাই মেনে নিতে পারছেন না রাসেল।

LEAVE A REPLY