ছবি : এএফপি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, হিজবুল্লাহ-মুক্ত না হলে লেবাননের অবস্থা গাজার মতো হবে। মঙ্গলবার একটি ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমি লেবাননের মানুষের কাছে এই বার্তা দিতে চাই যে, আপনাদের দেশকে হিজবুল্লাহ মুক্ত করুন। তাহলেই লড়াই থামবে।’
তিনি বলেছেন, ‘একসময় লেবাননকে মধ্যপ্রাচ্যের হীরে বলা হতো।
তার সৌন্দর্য ও সহনশীলতার জন্য। তারপর একদল সন্ত্রাসী তাকে ধ্বংস করলো। এই দেশে বিশষৃঙ্খলা কায়েম করলো। লড়াই শুরু হলো।
’
নেতানিয়াহুর বক্তব্য, ‘হিজবুল্লাকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সমর্থন করে ইরান। তারাই লেবাননকে অস্ত্রঘাঁটি হিসাবে গড়ে তুলেছে। লেবানন তাদের সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।’ নেতানিয়াহুর দাবি, ‘হিজবুল্লাহ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণের ফলে তারা এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এত দুর্বল তারা অনেক বছরের মধ্যে হয়নি। ফলে লেবাননের মানুষ একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে পৌঁছেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ অনেকগুলো সুন্নি আরব দেশ হিুজবুল্লাহকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লার সম্ভাব্য উত্তরসূরিদেরও সরিয়ে দিতে পেরেছে ইসরায়েল।’
নাসরাল্লা গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নাসরাল্লার উত্তরাধিকারী হাশেম সাফিয়েদিনও মারা গেছেন। নেতানিয়াহু সেই খবরকে সমর্থন করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তার নাম নেননি।
এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৩৬ জন মারা গেছেন ১৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সবমিলিয়ে দুই হাজার ১১৯ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ১০ হাজার ১৯ জন।
লেবাননের সরকারি বার্তাসংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় দক্ষিণ বৈরুতে কম করে চারটি অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে পড়েছে। এই এলাকা হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট তার প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তার। পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সচিব সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করেছেন। লয়েড অস্টিনের আশা, খুব তাড়াতাড়ি গ্যালান্টের সঙ্গে তার বৈঠক হবে।’এই সফর বাতিলের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
তবে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে চান। গত সপ্তাহে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা অনুমোদন না করা পর্যন্ত এই সফর স্থগিত রাখা হয়েছে।