‘আমাদের চেষ্টা ছিল সারিকাকে যেন কোথাও দেখা না যায়’

সারিকা সাবরিন।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। গত সপ্তাহে ওটিটি প্ল্যাটফরম বিঞ্জে এসেছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’। রায়হান রাফী পরিচালিত এ ফিল্মের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়সহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

ওটিটিতে আপনার দ্বিতীয় কাজ। মুক্তির প্রায় এক সপ্তাহ পার হলো। কেমন সাড়া পেলেন?

আমি স্যোশাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ নই। তাই সেখানে ডিরেক্ট কারো রেসপন্স দেখতে পাচ্ছি না।

কিন্তু প্রিমিয়ারের দিন অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তারা ওই দিন এসে সরাসরি যেটা বলেছেন সেটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। তার চেয়ে বড় বিষয় ওই দিন কিছু দৃশ্যর সময় দর্শক হলে বসে হাততালি দিয়েছেন। সেটার চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বা উৎসাহ নেই।

মায়া হয়ে ওঠা নিশ্চয় কষ্টকর ছিল?

তা ছিল বলতে পারেন। আসলে সারিকার সব অভ্যাস বদলে মায়া হয়ে উঠেছি। এটা আমাদের মহড়ার দিন থেকেই শুরু হয়েছিল। বাসায় এসেও আমি সারিকা না হয়ে মায়ার মতো করেই চলাফেরা ও আচরণ করেছি। আসলে আমাদের চেষ্টা ছিল সারিকাকে যেন কোথাও দেখা না যায়।

মায়া থেকে বের হতে পেরেছেন?

হা হা। মাত্র তো রিলিজ হলো। আমি আরো কিছুদিন মায়ার মধ্যেই থাকতে চাই। মায়া আসলে আমার জন্য খুব স্পেশাল একটা গল্প, স্পেশাল একটা অভিনয়। সামনে হয়তো আরো ভালো ভালো কাজ করব। কিন্তু এই কাজটা আমার মনে সব সময় একটা বিশেষ জায়গা দখল করে থাকবে।

আমি যদি ভুল না করি, আপনার ক্যারিয়ারের বয়স বোধ হয় ১০-১২ বছর।

নাহ, আরো বেশি হতে পারে। যদি মডেলিং থেকে শুরু করি।

৫ হতে পারে। যাই হোক, ১৫ বছরে একজন সারিকার যে জায়গায় পৌঁছার কথা ছিল সেখানে কি পৌঁছাতে পেরেছেন বলে মনে করেন?

আসলে এসব নিয়ে খুব একটা ভাবি না। আমি মনে করি, দর্শকের ভালোবাসাই আসল স্বীকৃতি। আমি এখনো বাইরে বের হলে বা কোথায় গেলে, মানুষের যে ভালোবাসা বা সাড়া পাই সেটা অসাধারণ। সবার একটা চাওয়া আমি আরো বেশি বেশি কাজ করছি না কেন। কোনো বিয়ে বাড়িতে যাই বা কোনো মলে যাই একই অবস্থা হয়। তাদের এই ইচ্ছা বা আগ্রহ যত দিন থাকবে, তত দিন আমার কাজ করে যাওয়া সার্থক।

এই যে কোথাও গেলে দর্শকদের সাড়া পাওয়ার বিষয়টা বললেন, তাতে কি মনে হয় না আপনার আরো বেশি বেশি কাজ করা দরকার ছিল?

এখনো কিন্তু সময় পার হয়ে যায়নি (হাসি)। আসলে অনেক কাজ করার চেয়ে ভালো ও সেরা কাজ করা উত্তম। আর একেকজনের জীবনের দর্শন একেক রকম। আমার কাছে মনে হয়েছে যখন যেটা দরকার, সেটাই করেছি। সবারই পরিবার, বাচ্চা এবং নিজেকে সময় দেওয়া খুব দরকার। আমি জীবনের যে জায়গায় আছি আমি হ্যাপি। আর দর্শকদের বলব, প্রচুর কাজ করার চেয়ে যেটা করছি সেটা তাদের চাওয়াটা পূরণ করল কি না, সেটাই আসল কথা।  

আপনি মাঝে কাজ থেকে একটা বিরতি নিয়েছিলেন।

হ্যাঁ, সেটা ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল। তখন আমার বেবি হলো। ওকে সময় দেওয়া। পাশাপাশি পরিবারকে সময় দেওয়ার কারণেই বিরতি নিয়েছিলাম।

এখন কাজের অফার কেমন আসছে?

নাটকের জন্য অনেক কল আসছে। কিন্তু আমি তো নাটক করা কমিয়ে দিয়েছি। আমি যেকোনো উৎসবকেন্দ্রিক নাটক করব। আর ওটিটির কাজের জন্য কথা চলছে। এ ছাড়া আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটা কাজ করেছি। সেটা নিয়ে বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।

আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনে আপনারা সমবয়সী বেশ কজন মডেল একসঙ্গে কাজ করেছেন। আমরা কি আবার তাদের একসঙ্গে দেখতে পারি কখনো?

দেখুন, আমার আসলে কারো সঙ্গেই কাজ করতে সমস্যা নেই। আর সহশিল্পী তো আমরা নির্ধারণ করি না। এটা পরিচালক বা গল্পের প্রয়োজনেই আসে। তাই তারা যাকে চূড়ান্ত করবেন তার সঙ্গেই কাজ করব। তবে এ জন্য গল্প ও পরিচালক ঠিকঠাক হতে হবে।

LEAVE A REPLY