বিরতি আমার ইচ্ছায় হয় না : নাবিলা

মাসুমা রহমান নাবিলা

মাসুমা রহমান নাবিলা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কচ্ছপের মতো ধীরগতিতেই পথ চলছেন তিনি। দৌড়াতে তাকে কখনোই দেখা যায়নি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শোবিজ অঙ্গনে উপস্থাপনা কিংবা অভিনয়ে অন্যদের থেকে তুলনামূলক কমই দেখা গেছে তাকে।

সব সময় পর্দায় একটু ভিন্ন আঙ্গিকেই ধরা দিয়েছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। বিশেষ করে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের কাছে আরও প্রিয় হয়ে ওঠেন এই মডেল, উপস্থাপক ও অভিনেত্রী।

এ বছরের কোরবানির ঈদে রায়হান রাফীর ‘তুফান’-এ অভিনয় করে ফের আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী। সফল এ ছবির পর কী করছেন তিনি? জেনেছেন কামরুল ইসলাম।

মাছরাঙা টিভিতে নতুন একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন। ওটা সম্পর্কে জানতে চাই… 

রাঁধুনীর একটি অনুষ্ঠান। তাদের সেরা রাঁধুনীর দুটো সিজনের রেসিপিগুলো নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছিল। এতে বাংলাদেশের খাঁটি, ঐতিহ্যবাহী ১০০ রেসিপি আছে।

সেই রেসিপিগুলোই এবার পর্দায় দেখানো হবে। টানা প্রায় তিন সপ্তাহ এফডিসিতে শুটিং করেছি। ১৪ অক্টোবর শেষ হয়েছে। যতদূর জানি, নভেম্বরে এটার প্রচার শুরু হবে।

তুফান-এর মতো সফল ছবির পর অভিনয়ে আর কী করছেন?

কিছুই করছি না।

এই যে রাঁধুনীর প্রগ্রামটা করলাম, এখন একটি ইভেন্টে আছি, এটার উপস্থাপনা করব। অভিনয়ের কাজ তো আমার ওপর নির্ভর করে না। আমার কাছে প্রস্তাব এলে, পছন্দ হলে তবেই কাজ করা হয়। কিন্তু কোনো কারণে আমার কাছে কাজ খুব একটা আসে না। অপেক্ষায় আছি, ভালো কিছু এলে আবার অভিনয় করা হবে।

কোনো ছবি বা কনটেন্ট হিট হলে অভিনয়শিল্পীর কাছে তো নির্মাতা-প্রযোজকদের লাইন লেগে যায়…!

আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। হয়তো আমার অভিনয় মানুষের অত পছন্দ হয়নি! সামহাউ আমার কাছে কাজ কম আসে।

এ ক্ষেত্রে আপনার দিক থেকে কোনো সীমাবদ্ধতা আছে কি?

আমার মনে হয়, আমি শুধু কাজ করি আর পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকি। পিআর মেন্টেইন করা হয় না। নির্মাতা-প্রযোজকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আমার পক্ষে হয়ে ওঠে না। কোনো গ্যাদারিংয়ের পার্ট হতে পারি না। কারো সঙ্গে যোগাযোগ, বন্ধুত্ব, কফির আড্ডা, এসব জায়গায় আমার খামতি আছে। তাই হয়তো আমার কথা নির্মাতাদের হুট করে মনে পড়ে না। অথবা আমার অভিনয় তাঁদের পছন্দ না।

আয়নাবাজির পর লম্বা বিরতি। তুফান-এর পরও কি তেমন হওয়ার আশঙ্কা আছে?

বিরতি আমার ইচ্ছায় হয় না। ‘আয়নাবাজি’র সময়ও বলেছি, কাজ করতে চাই। এখনো তাই বলি। খেয়াল করে দেখলাম, কিছু মানুষ রিপিটেডলি কাজ করেন। সেই রিপিটেটিভ ব্যাপারটা আমার সঙ্গে কেন ঘটে না, একটা হিট কাজের পর কেন নতুন দশটা কাজের প্রস্তাব আসে না, আই ডোন্ট নো। সত্যি বলতে আমার কাছে কাজ সেভাবে আসে না। আবার যেকোনো কাজ এলেই করে ফেলব, তা তো না। পছন্দ হতে হবে। ফলে একটা ভালো কাজ বেছে নেওয়ার অপশন আমি পাই না। এ কারণেই গ্যাপ হয়ে যায়।

ক্যারিয়ারের প্রায় শুরু থেকে সঞ্চালনার আসনে বসে প্রশ্ন করে যাচ্ছেন। আবার অভিনয়ের সুবাদে অন্যদের প্রশ্নের জবাবও দিতে হয়। প্রশ্ন করা নাকি উত্তর দেওয়াকোনটা সহজ মনে হয়?

উত্তর দেওয়া সহজ। আমি খুব সাবলীলভাবে উত্তর দিই, ভাবনা-চিন্তা করি না। তবে প্রশ্ন করার জন্য অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করায় খাটুনি বেশি। উত্তর দেওয়ার মধ্যে কোনো খাটুনি নেই।

LEAVE A REPLY