সিমন্স জেনেই এসেছেন, বাংলাদেশের কোচ হওয়া কতটা কঠিন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ ফিল সিমন্স।

চুক্তির মেয়াদ শেষের আগে বাংলাদেশে কোচ পরিবর্তনের সংস্কৃতি বেশ পুরনো। সর্বশেষ উদাহরণ চন্দিকা হাতুরাসিংহে। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তি ছিল। পাঁচ মাদ আগেই বরখাস্ত হয়েছেন এই শ্রীলঙ্কান।

অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে হাতুরাসিংহের চেয়ারে বসেছেন ফিল সিমন্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার জেনেই এসেছেন, বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়া সহজ কাজ নয়।

বাংলাদেশে আসার পর আজ নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সিমন্স বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কোচের প্রতিটি চাকরিই হট সিট। বাংলাদেশে কাজটা হয়ত কঠিন।

তবে আমার কাজ হলো ছেলেরা যাতে নিজের মতো খেলতে পারে, উপভোগ করে সেটা নিশ্চিত করা। খেলার জন্য তাঁদের প্রস্তুত করা। গত ২ দিন চমৎকার সময় গিয়েছে।’

গত মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়ে দেন, হাতুরুসিংহের জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিমন্সকে।

কিন্তু জানা যায়নি, এই কোচের সঙ্গে ঠিক কবে যোগাযোগ শুরু করেছিল ক্রিকেট বোর্ড। আজ সেই উত্তর পাওয়া গেল সিমন্সের কাছে, ‘আজ শনিবার তাই তো? তাহলে দেড় সপ্তাহ আগে প্রস্তাব পেয়েছি।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংকট সময়ে প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন সিমন্স। একে তো যার পরিবর্তে তিনি এখানে এসেছেন, সেই হাতুরাসিংহে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বোর্ডের রোষানলের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত।

তবে এসব ‘বাইরের আলাপ’ মনে করা সিমন্স মাথা ঘামাতে চান না বলেই মন্তব্য করলেন, ‘বাইরে কী হচ্ছে তা নিয়ে মাথা না ঘামান এবং ক্রিকেটে মনোযোগ রাখা আমাদের দায়িত্ব। আমি সেটাই নিয়ন্ত্রণ করি যা আমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তা হলো প্রস্তুতি। সোমবার শুরু হতে যাওয়া ম্যাচেই আমাদের সব মনোযোগ।’

এদিন নিজের কোচিং দর্শন নিয়েও কথা বলেন সিমন্স, ‘আমার দর্শন হলো কঠোর পরিশ্রম করো, ফলাফল আসবে। সবসময় পক্ষে না এলেও ফলাফল আসবে। গত কিছু দিন দেখেছি ওরা কঠোর পরিশ্রম করে খেলা, স্কিল, ফিটনেস নিয়ে। আমি খুশি।’

LEAVE A REPLY