ভারতে ৩০০ বিমানে বোমাতঙ্ক : লোকসানে কর্তৃপক্ষ

ছবি: সংগৃহীত

টানা বোমাতঙ্ক। যাত্রী এবং কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে নিরাপত্তাহীনতা্। ক্ষতির মুখে ভারতীয় বিমান সংস্থা।

জানা যায়, প্রতিদিনই বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বেগ ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের। এবার আরও ২৭টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াল। ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, স্পাইসজেট, উড়ান সংস্থা মিলিয়ে অন্তত ২৭টি বিমানে বোমার হুমকি গিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফ্লাইটগুলো হয় বাতিল করা হয়েছে, নাহয় যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে।

এই নিয়ে গত ১১ দিনে প্রায় ৩০০টি বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ইতিমধ্যেই বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, বোমাতঙ্ক ছড়ানোর চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু একাধিক বৈঠক, সিদ্ধান্তের পরও তা কমার কোনও লক্ষণ নেই। কয়েকদিন ধরে সরকার এ ধরনের উড়ো খবর ছড়ানো ব্যক্তিদের নো ফ্লাই তালিকাভুক্ত করবে বলে ঠিক করেছে।

একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, এইসব বোমাতঙ্কের অধিকাংশই সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’ মারফত আসছে। ভুয়া বোমাতঙ্কের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত আটটি মামলা রুজু করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উড়ান সংস্থাকে নিয়ে বৈঠকও করেছে বেসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করেই হুমকিবার্তা পাঠানো হয়েছে। আর সে কারণেই ওই বার্তা প্রেরকদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। যে আইপি অ্যাড্রেসগুলো ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে।

বেশির ভাগ হুমকিদাতার আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল অনুযায়ী অবস্থান জার্মানি, ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা ও আমেরিকা। এরমধ্যেই সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে নাশকতার হুঁশিয়ারি এল খালিস্তানি সংগঠনের নেতা ভারত বিরোধী গুরপবন্ত সিং পান্নুনের তরফে।

আশির দশকে শিখদের গণহত্যার ‘প্রতিশোধ’ নিতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে নাশকতা চালানোর আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পান্নুন। নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর এই নেতার হুমকি প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যাত্রীদের সতর্ক করে পান্নুন জানিয়েছেন, আগামী ১ থেকে ১৯ নভেম্বর কেউ যেন এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে যাত্রা না করেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে


LEAVE A REPLY