বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সিলেটের গোলাপগঞ্জে নিহত হয়েছেন সাতজন। এ ঘটনায় থানা ও আদালতে পৃথক হত্যা মামলা করেছে নিহতের পরিবারগুলো। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। মামলা দায়েরের পর কিছু চুনোপুঁটিকে আটক করলেও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। ফলে রাঘববোয়ালরা এখনো অধরাই রয়ে গেছেন।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম, শিলঘাট গ্রামের সানি আহমদ, বরকোট গ্রামের তাজ উদ্দিন, উত্তর কানিশাইল গ্রামের কামরুল ইসলাম পাভেল, দত্তরাইল গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন, রায়গড় গ্রামের হাসান আহমদ ও পৌর এলাকার উত্তর ঘোষগাঁয়ের গৌছ উদ্দিন। এ ঘটনার পর থানা ও আদালতে সাতটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, সাবেক পৌরমেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। বাকি ছয়টি মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, সাবেক পৌরমেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের আগেই গা-ঢাকা দেয় আওয়ামী লীগের রাঘববোয়ালরা। কানাডায় পালিয়ে গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, লন্ডনে পালিয়ে গেছেন পৌরমেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ মাঠ কাঁপানো প্রভাবশালী নেতারা। এছাড়া যারা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেননি তারা চলে গেছেন আত্মগোপনে। বর্তমানে কেউ নেই এলাকায়। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এখন কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছেন না। তিনি দেশের ভেতরে রয়েছেন নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছেন এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাছের বলেন, মামলার মূল আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।