অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হয়েছেন গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি শপথ নিয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে এই নির্মাতাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে ছিলেন আরো দুজন নতুন উপদেষ্টা।
নতুনদের মধ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শপথ নেওয়ার পর নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘আমি কখনোই কোনো পদ কিংবা কোনো চেয়ারে বসব, এটা ভাবি নাই। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা টেম্পটিং (লোভনীয়), না বলাটা মুশকিল।’
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফারুকী বলেন, ‘আমি আশা করি, যে কয়দিন কাজ করব, কিছু পরিবর্তন হয়তো ঘটাতে পারব।
’
আজ সকালেই তার নির্ধারিত মন্ত্রনালয়ে গেছেন এই উপদেষ্টা। সেখানে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি এই সরকারের সময় শিল্পচর্চায় কোনো বাঁধা আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্তবর্তী সরকার শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় বাধা হবে না। তবে যারা শিল্প চর্চা করছে তাদেরও সচেতন হতে হবে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে প্রথম কাতারের অপরাধী যারা তাদের বাঁচাতে পঞ্চম কাতারের অপরাধীরা যদি কাজ করে তাহলে তো সমস্যা হবে। কুরুচিপূর্ণ, জঘন্য তথ্য যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, তাহলে সমস্যা হবে। বিপ্লবের চেতনা বুঝতে হবে। নাটক হচ্ছে, যাত্রা হচ্ছে কেউ তা বন্ধ করেনি। ’
তার উপদেষ্টা হওয়া নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হয়েছে কাল থেকেই।সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে যা বলা হচ্ছে-এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। ২০১৩ সালে আমাকে বলা হতো ছাগু-জামাত শিবির। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তখন বলেছিলাম, ‘এই চেতনা দিয়ে কী করবো। সে সময় আমাকে শিবির বলা হয়েছিলো। কেউ মনে জামাতি, কেউ বিএনপি, কেউ আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমি কারো লোক নই। আমি আমার। আমি কারো প্রতি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেইনি। ’
তিনি কাজ সম্পর্কে বলেন, ‘একা কোন কিছু করা সম্ভব না। সবাইকে নিয়ে কাজ করবে। এখানে বাজেট কম। তবে আমার টিম ভালো। নতুন বাংলাদেশের ন্যারেটিভ ফিল্ম ছাড়া পূরন করা সম্ভব না। দৃশ্যমান পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব এক বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করবো। এরপর প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবো। আশা করি সহযোগিতা দিবে। ’