সংগৃহীত ছবি
জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠেয় কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আজারবাইজানের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এবার কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সে কারণে বাকুতে বাংলাদেশ তার দাবিদাওয়া তুলে ধরবে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কথা বলবে। সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির তহবিল, এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইতে পারে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। এর আগে তিনি জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক সফর করেছিলেন। এবার কপ২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি আজারবাইজান যাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বাকুতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌজন্য সাক্ষাত্ করবেন।
আজারবাইজানের বাকুতে কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী কারা হবেন জানতে চাইলে প্রেসসচিব শফিকুল আলম গত বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘যতজন না নিলেই না, ততজনকেই নেওয়া হবে। এটি মনে হয়, নিউইয়র্ক সফরের চেয়েও কম হবে। আগের পতিত স্বৈরাচার ২৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে বড় রকমের সফর করতেন। একটি সফরে যেসব লোককে থাকতে হয়, ততগুলো লোকই নেওয়া হবে এই সফরে। এটি আপনারা যাচাই করে দেখবেন।