আলী যাকের
তিনি গুণী অভিনেতা। মঞ্চ থেকে শুরু করে হুমায়ূন আহমেদের নাটক—সবখানেই নিজের গুণময় উপস্থিতি জানান দিয়েছেন আলী যাকের। যাকে সবাই ডাকতেন ছোটলু নামে। মঞ্চের ‘নূরলদীন’ কিংবা টেলিভিশনের ‘বড় চাচা’ চরিত্রের মতো তিনিও স্থান করে নিয়েছিলেন মানুষের হৃদয়ে।
‘বহুব্রীহি’, ‘আজ রবিবার’র মতো নাটক ও ‘নদীর নাম মধুমতী’, ‘লালসালু’ চলচ্চিত্রেও ছিল তাঁর সফল পদচারণ। আজ ২৭ নভেম্বর তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আজ থেকে তিন বছর আগে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
আলী যাকের অভিনেতা হিসেবে যেমন সফল একজন মানুষ, নির্দেশক হিসেবেও সফল।
মঞ্চে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন অনেক নাটক। তার মধ্যে রয়েছে ‘অচলায়তন’, ‘বাকি ইতিহাস’, ‘বিদগ্ধ রমণীকুল’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘কাঁঠালবাগান’, ‘তৈল সংকট’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’ এবং ‘নূরলদীনের সারাজীবন’।
১৯৭৩ সালে আলী যাকের যোগ দেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে। সর্বশেষ নিজ নাট্যদলের হয়ে ২০১৭ সালে মঞ্চে অভিনয় করেন তিনি; সেটি গ্যালিলিও নাটকে।
এ অভিনয়শিল্পীর অভিনয়ে পথচলা শুরু ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে। ‘কবর’ নাটকে। তারপর ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে ঢাকার মঞ্চ নাটক তার হাত ধরে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন।
আলী যাকের কেবল মঞ্চ নাটকের সফল অভিনেতা কিংবা সফল নির্দেশকই নন। মঞ্চ নাটকের অন্যতম সফল সংগঠকও তিনি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার।