ভারতে ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাই

প্রতীকী ছবি : এএফপি

গত নভেম্বর মাসে ভারতের নাগপুর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় আগেই এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবার জানা গেল, সেই ব্যক্তি আসলে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) নাগপুর শাখায় কর্মরত তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর নাগপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বোমাতঙ্ক ছড়ায় ইন্ডিগোর একটি বিমানে। বিমানটিতে ১৮৭ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিলেন। বোমা রাখার খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই শিগগিরই বিমানটিকে ঘুরিয়ে ছত্তিশগড়ের রায়পুর বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সব যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি।

কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, বোমা রাখার খবরটি ভুয়া। এর পরই রায়পুর থেকে অনিমেষ মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।আরো পড়ুন

ভারতে ২ সপ্তাহে ৩৫০ ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, আইন সংশোধনের ভাবনা সরকারের

ভারতে ২ সপ্তাহে ৩৫০ ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, আইন সংশোধনের ভাবনা সরকারের

অনিমেষের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫১(৪) ধারা ও বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের অধীনে মামলা হয়। তবে সম্প্রতি অনিমেষের আইনজীবী ফয়জল রিজভি দাবি করেছেন, তার মক্কেল আসলে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

বিমানে বোমা থাকতে পারে—এই সম্ভাব্য সূত্রের ভিত্তিতেই কাজ করছিলেন তিনি। কেন প্রথমে তার পরিচয় গোপন রেখেছিল পুলিশ, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনিমেষের আইনজীবী।

রায়পুর পুলিশের সুপার সন্তোষ সিংহের পাল্টা দাবি, অনিমেষকে আটক করার পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে আইবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আইবি ও স্থানীয় পুলিশের যৌথ জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের যুক্তি, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন ওই ব্যক্তি।

ভারতে ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক যেন থামছেই না

গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, মাস দুয়েক ধরেই ধারাবাহিকভাবে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট তো বটেই, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটেও ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। শুধু গত মাসেই পাঁচ শতাধিক ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও পরে দেখা যায়, সব বিমানে বোমা রাখার তথ্যই ভুয়া। একের পর এক ফ্লাইটে বোমাতঙ্কের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারও। কারা এই ভুয়া খবর ছড়াচ্ছেন, তাদের খোঁজে চালানো হয়েছে একাধিক তল্লাশি অভিযান। এক্স, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও আরো সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তৎপরতায় দেশটির সব বিমানবন্দরে প্রহরা আরো জোরদার করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY