ইউটিউবে লাইভ-স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে একটি ডিজিটাল কনসার্ট করেছিলেন ইরানি গায়িকা পারাস্তু আহমাদি। কনসার্টে পারফর্ম করার সময় তার মাথায় ছিল না হিজাব, পরনে ছিল কাঁধখোলা পোশাক।
ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করার এক দিনের মধ্যেই এটি ৫ লাখ ভিউ ছাড়িয়ে যায়। আর কনসার্টের একটি ছোট টিজার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে প্রায় ২ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে।
কিন্তু এই কনসার্টের মাধ্যমে ইরানের রক্ষণশীল সরকারের চক্ষুশূল হয়েছেন আহমাদি। ইরানের পোশাক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তার কনসার্টটিকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। ওই গায়িকা এবং তার প্রোডাকশন টিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগীয় সংবাদ সংস্থা মিজান জানায়, কনসার্টটি ‘দেশের আইন ও সাংস্কৃতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটিতে নারীদের জন্য চুলে ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। একইসঙ্গে নারীদের প্রকাশ্যে সংগীত পরিবেশনের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ রয়েছে।