বাজারে নতুন পেঁয়াজে কমছে দাম, এখনো চড়া আলু

সংগৃহীত ছবি

বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসায় এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। তবে আলুর দাম এখনো চড়া। নতুন ভারতীয় আলু এসেছে বেশ আগেই।

এখন দেশি নতুন আলুও যোগ হয়েছে। এর পরও পুরনো আলুর দাম কমেনি।

প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন ও পুরনো আলু। পুরনো আলু খুচরা পর্যায়ে এখনো কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।

নতুন আলু ৮০ টাকা কেজি। সরবরাহ বাড়ায় শীতের সবজির দাম পড়ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে নতুন আলু এলেও কৃষকরাই বাড়তি দরে বিক্রি করছেন।

container.html” width=”300″ height=”250″>

হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম বাড়তি থাকায় খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমেনি। স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকায় আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বাজারে মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে পণ্যটির দাম কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

রসুন আগের চড়া দরেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং দেশি রসুন কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা। গত কয়েক সপ্তাহ বাজারের দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল দেখা না গেলেও গতকাল নতুন দরের বোতলজাত তেল দেখা গেছে। নতুন দর অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৯৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা ছিল। টিসিবির তথ্য মতে, আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের সিয়াম স্টোরের ব্যবসায়ী মো. রমিজ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকার মতো কমে এসেছে। নতুন আলুর দামও কিছুটা কমে এখন নতুন-পুরনো একই দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলুর সরবরাহ আরো বাড়লে দাম কমে যাবে।’ 

বাজারে মুরগির দামে তেমন হেরফের নেই। ব্রয়লার মুরগি বেশ কিছু দিন ধরেই ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি মানভেদে ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের দামও গত সপ্তাহের মতো প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।

খেলাপি ঋণ নিয়ে কঠোর নীতিমালা চায় আইএমএফ

বাজারে প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা। অন্যান্য শাক-সবজি আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।

LEAVE A REPLY