সংগৃহীত ছবি
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে ফের উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সাংবাদিক গ্রেপ্তার, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ কয়েকটি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বাংলাদেশে গত ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক জেলে আটক আছেন। এখন পর্যন্ত তারা জামিন পাননি, এমনকি তাদের জামিন শুনানিও হয়নি।
ইতিমধ্যেই কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এবং অনেক মানবাধিকার সংস্থা ড. ইউনূসের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। যেখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতেরও স্বাক্ষর রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের জামিনের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেবে?
জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আগের সরকারের মতোই অন্তর্বর্তী সরকারকেও স্পষ্ট করে বলতে চাই— যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা উচিত।
আর এসব মামলার ক্ষেত্রে আইনের শাসন এবং সংবাদপত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মোকাবিলা করা উচিত।
আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এই পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মূল্যায়ন করছে? জবাবে মিলার বলেন, এসব ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সংঘাতের ফলে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধান অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরো বলেন, নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাসহ নিপীড়িত জনগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের কথা উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি উদ্যোগ নেবে বা তাদের এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ রয়েছে কিনা?
জবাবে ওই মন্তব্য সম্পর্কে অবগত নন উল্লেখ করে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার কাছ থেকেই আমি এটা প্রথম শুনলাম।
এ ছাড়া আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। সুতরাং এক্ষেত্রে আমি স্বাভাবিক নিয়মেই আগাবো। কেননা আমি যখন কোনো মন্তব্য দেখিনি বা এর প্রেক্ষাপট জানি না- তা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করব না।
ওই সাংবাদিক শেখ হাসিনার বক্তৃতার ওপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে এর জবাব দেননি মিলার। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।