এবারও অস্কারে ‘যাত্রাভঙ্গ’ বাংলাদেশের

৯৭তম অস্কারের ১০টি বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকা মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশ করেছে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে এবার বিবেচিত হয়েছে ৮৫টি দেশের সিনেমা। গোল্ডেন লেডিকে হাতে তোলার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম ডকুমেন্টরি ফিচার, ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম, মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইলিং, মিউজিক (আসল স্কোর), মিউজিক (আসল গান), অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম, লাইভ-অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম সহ অন্যান্য বিভাগে অস্কার জেতার দৌড়ে কারা থাকবেন সেই তালিকাই প্রকাশ করল অ্যাকাডেমি কতৃপক্ষ। আর এই সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বাংলাদেশি সিনেমা ‘বলী’ (দ্য রেসলার)।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ‘বলী’ পাঠানো হয়েছিল অস্কারের দৌড়ে।

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বলী’ গত ২৮ সেপ্টেম্বর কানাডায় বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পেয়েছে। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের নিউ কারেন্টস বিভাগের পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমাটি। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলাকে উপজীব্য করে নির্মিত ‘বলী’র গল্প মধ্যবয়সী মজুকে কেন্দ্র করে।

তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। এছাড়া আছেন প্রিয়াম অর্চি, অ্যাঞ্জেল নূর, একেএম ইতমাম, তাহাদিল আহমেদ। 

এ বছর অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের সেরা আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের জন্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আহ্বান করার পর কেবল ‘বলী’ জমা পড়েছিল। এটি দেখার পর অস্কারের জন্য চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের উদ্যোগে গঠিত ৭ সদস্যের ৯৭তম অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।

এর চেয়ারম্যান ছিলেন নির্মাতা ড. মতিন রহমান। তবে অস্কারের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে সিনেমাটি।

এদিকে ভারতের হয়ে লড়তে যাওয়া প্রশংসিত সিনেমা ‘লাপাতা লেডিস’ও বাদ পড়েছে অস্কারের দৌড়ে। তবে লাইফ-অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম বিভাগে নাম রয়েছে ভারতীয় সিনেমা ‘অনুজা’র।

২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত।

৯৭তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ২৩টি প্রতিযোগিতামূলক বিভাগের মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করা হবে ১৭ জানুয়ারি। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়ায় হলিউডের ডলবি থিয়েটারে জমকালো আসরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে ২ মার্চ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন কেভিন ও’ব্রায়েন। 

LEAVE A REPLY