রংপুরকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে শীর্ষে ঢাকা মেট্রো

ঢাকা মেট্রোর জয়ের আগে দুই ব্যাটার। ছবি : বিসিবি

অন্যদের কপালে জুটলেও নামের পাশে হার ছিল না রংপুর বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর। টানা পাঁচ ম্যাচ জয় নিয়ে আজ মুখোমুখি হয়েছিল দুই দলই। এমন সমীকরণে খেলতে নামায় যেকোনো এক দলকে হার মেনে নিতেই হয়।

সেই হার সঙ্গী হয়েছে রংপুরের।

ঢাকা মেট্রোকে ১২৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৭ উইকেটের পরাজয় দেখতে হয়েছে তাদের। সাদমান ইসলামের (৫৪) দুর্দান্ত ফিফটিতে ২৭ বল হাতে রেখে বড় ব্যবধানের জয়টি পেয়েছে ঢাকা মেট্রো।

এর আগে সিলেট আর্ন্তাজাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর জয়ের কাজটা সেরে রাখে বোলাররা। বিশেষ করে ৩টি করে উইকেট নেওয়া আবু হায়দার রনি ও আলিস আল ইসলাম।

প্রতিপক্ষকে ১২৫ রানে আটকানোর ম্যাচে ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন পেসার আবু হায়দার। শেষ দিকে আলাউদ্দিন বাবু ৪৭ রানের ইনিংস না খেললে এই সংগ্রহটাও করতে পারত না রংপুর।

এতে টানা ৬ ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্টে শীর্ষে ঢাকা মেট্রো। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রংপুর।

দুই দলের শেষ চারও নিশ্চিত হয়েছে।

রাজশাহীর টুর্নামেন্ট শেষ

সবার আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শেষ হয়েছে রাজশাহী বিভাগের। আগামীকাল শেষ ম্যাচ খেললেও আজ ঢাকার কাছে হেরে কাগজে-কলমে তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। রংপুরের মতো রাজশাহীও ৭ উইকেটে হেরেছে।

সিলেট একাডেমি মাঠে ১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জাওয়াদ আবরারের (৬২) ফিফটিতে ২৯ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে ঢাকা।

ঢাকার জয়ে অবদান রেখেছেন ৩৩ রান করা রনি তালুকদারও।

এ জয়ে শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ আছে ঢাকার। এ জন্য শেষ ম্যাচে বরিশালকে বড় ব্যবধানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারও কামনা করতে হবে তাদের। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে সাব্বির হোসেন (৩২) ও তাওহিদ হৃদয়ের (৩৭) দুটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ১৪০ রান করে রাজশাহী।

22
ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে জাওয়াদ আবরার। ছবি : বিসিবি

শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

চট্টগ্রামকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে খুলনা। ১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজিজুল হাকিম তামিম (৩৬) ও জিয়াউর রহমানের (৩৯*) ত্রিশোর্ধ্ব দুই ইনিংসে সহজ জয় পেয়েছে খুলনা।

খুলনার কাছে হারলেও শেষ চারের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে চট্টগ্রামের। এ জন্য শেষ ম্যাচে শীর্ষে থাকা ঢাকা মেট্রোকে হারাতে হবে তাদের। আজ জিতলে নিশ্চিত হতো তাদের। তবে লক্ষ্যটা বড় দিতে পারেনি তারা। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা চট্টগ্রামের ছোট্ট সংগ্রহটা এসেছে অধিনায়ক ইয়াসির আলি চৌধুরির ৬১ রানের কল্যানে। যদিও শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি।

সিলেটের কাছে হেরে বিপদে বরিশাল

সিলেটকে হারাতে পারলে শেষ চারে সুযোগ পাওয়ার কাজটা সহজ হতে পারত বরিশালের। উল্টো ২ উইকেটের বড় পরাজয়ে নিজেদের বিপদে ফেলেছে বরিশাল। শেষ ম্যাচে যদি ঢাকাকে হারাতে পারে তাহলে ৬ পয়েন্ট হবে তাদের। এতে করে শেষ চারে যাওয়ার সুযোগও হতে পারে তাদের। এ জন্য অবশ্য তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের হার দেখার জন্য। অন্যথা রাজশাহীর মতো বিদায় ঘটবে তাদের।

আজ সিলেট একাডেমি মাঠে জয়ের জন্য দলীয় খাতায় রানই যোগ করতে পারেনি বরিশাল। কোনো রকমে টেনেটুনে ১০৮ রান করে তারা। সেই লক্ষ্যও আবার তাড়া করতে নেমে বেশ বিপদেই পড়েছিল সিলেট। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে গিয়ে জয় পায় সিলেট। শেষ দিকে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস না খেললে হারই দেখতে হতো সিলেটকে।

LEAVE A REPLY