নব্বই দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি দুই যুগ পর দেশে ফিরেছেন। এতদিন যে মাদক মামলার কারণে তিনি দেশে আসতে পারছিলেন না, সেই মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন অভিনেত্রী।
একসময় অনবদ্য অভিনয়গুণে ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মমতা। একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। দর্শকমহলেও বেশ প্রশংসিত ছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে যখন ব্যস্ত সময় কাটছিল, তখনই হঠাৎ করেই দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরপর কেটে যায় ২৪ বছর। এই দীর্ঘ সময় আর পর্দায় দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।
২৪ বছর দেশ থেকে দূরে ছিলেন মমতা। তার মাথার ওপর মাদক মামলার অভিযোগ ঝুলছিল। প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে কাটিয়েছেন তিনিই জানেন। সেই মমতা কুলকার্নি মাথা উঁচু করে দেশে ফিরেছেন। দেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগে ভেসেছেন নব্বই দশকের সাড়াজাগানো নায়িকা। অভিনেতা সালমান খান, শাহরুখ খান, আমির খান— তিন খানের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন তিনি। আবেদনময়ী অভিনেত্রীর প্রতিটি ছবি ব্যবসা সফল হয়েছে।
দীর্ঘদিনের বিরতি কাটিয়ে দেশে ফিরে অজানা নানা বিষয় শেয়ার করে নিয়েছেন মমতা কুলকার্নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং মাদক মামলায় নাম জড়ানো নিয়েও কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
মমতা বলেন, ১৯৯৬ সালে ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় আমার। আর ১৯৯৭ সালে মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। এরপর ১২ বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। ওই সময় আমার সঙ্গে ফের দেখা করতে চান। পরে তার সঙ্গে একবার দেখা করি। তখন আমি আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করেছি। তারপর ২০১২ সালে কুম্ভমেলায় আমি স্নান করতে যাই এবং ভিকি গোস্বামী কেনিয়ায় চলে যান।
ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেন, সবই আমার ভুল ছিল। ১২ বছর ব্রহ্মচর্য জীবন কাটিয়েছি। তখন আমিষও খেতাম না। এটা সত্য যে আমি ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। তার প্রতি সবসময় ভালোবাসাও থাকবে। কিন্তু আধ্যাত্মিকতার প্রতি মনোনিবেশ করায় সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে কেনিয়াতেও দেখা করেছিলাম। তবে তাকে মাদক মামলায় আমেরিকা নেওয়ার পর প্রায় আট বছর হয়েছে, সব যোগাযোগ বন্ধ।
মাদক মামলা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, বলুন তো আমার কীসের অভাব ছিল? এসব তো মানুষ টাকার জন্য করে। ওই সময় আমার হাতে ১০টি বড় সিনেমার অফার ছিল। তিনটি বাড়ি ও দুটি গাড়ি ছিল। এখন তো বলিউড একদমই ছেড়ে দিয়েছি। আমি মনে করি তখন ভিকি গোস্বামীর জন্যই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছিল।
এ অভিনেত্রী বলেন, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এমনকি মমতাকে পলাতকও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পুলিশ সদস্য কোথায় রয়েছেন, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।