ব্যালন ডি’অর বিতর্কে রোনালদো : ভিনিসিয়ুসের প্রতি অন্যায় হয়েছে

গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দুটি পুরস্কার পান

২৮ অক্টোবর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে এটি নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। আলোচনার দৌড়ে ভিনিসিয়ুস এগিয়ে থাকলেও তাকে পেছনে ফেলে পুরস্কারটি জিতে নেন রদ্রি। মূলত সেখান থেকেই বিতর্কের শুরু। এবার সে বিতর্কে যোগ দিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

গতকাল শুক্রবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তার স্পষ্ট মতামত জানিয়েছেন সাম্প্রতিক ব্যালন ডি’অর বিতর্ক নিয়ে। পর্তুগিজ সুপারস্টারের মতে, ব্যালন ডি’অর না দিয়ে ভিনিসিয়ুসের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। রদ্রির চেয়েও পুরস্কারটি প্রাপ্য ছিল রিয়াল মাদ্রিদ তারকার।

১

রোনালদো বলেছেন, ‘ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর জেতা উচিত ছিল।

রদ্রিও এটি পেতে পারতেন, তবে ভিনিসিয়ুস চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন, ফাইনালে গোল করেছেন। অন্য কোনো বিষয় আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখন কেউ যোগ্য, তখন তাকে পুরস্কৃত করা উচিত। আমার মতে, এটি অন্যায় হয়েছে।

ব্যালন ডি’অর জিততে না পারলেও গত ১৭ ডিসেম্বর ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট’ জিতেছেন ভিনি। সেখানে রদ্রিকে ৫ পয়েন্ট ব্যবধানে হারান। 

এবারের ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও ছিলেন না রোনালদো। এ জন্য ব্যালন ডি’অর-এর আয়োজক ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর সমালোচনাও করেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা, ‘এই অনুষ্ঠানগুলো এমনই। তারা সব সময় এই কাজই করে।

’ এরপর গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসের প্রশংসাও করেন, ‘এ কারণেই আমি গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসকে ভালোবাসি। তারা সৎ।’

১

রোনালদোসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীত ছিলেন। এ বছর গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসে দুটি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল ও ১৩টি গোলে সহায়তা করা রোনালদোর হাতে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এর পাশাপাশি সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও পান রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৯১৬ গোল করেছেন রোনালদো। বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছেন ভিনিসিয়ুস, আর জুড বেলিংহাম জিতেছেন বেস্ট মিডফিল্ডার ও মারাডোনা অ্যাওয়ার্ড। ‘ইমার্জিং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা লামিনে ইয়ামাল। 

১

আল নাসর তারকা বলেন, ‘ক্লাবগুলোকে তাদের তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া উচিত, যাতে তারা ভালো পারফর্ম করতে পারে। আধুনিক ফুটবল আরো বেশি গতিময় হয়ে উঠছে। লামিন ইয়ামালের মতো খেলোয়াড় মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বমঞ্চে স্থান করে নিচ্ছেন। অতীতে এ রকম দেখা যেত না।’

LEAVE A REPLY