এই কনসার্টে আমরা ২০টির বেশি গান করব

প্রথম একক কনসার্ট করতে ১৪ বছর লেগে গেল! কারণ কী?

একটি সলো কনসার্ট আমাদের কাছে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টের মতো। কারণ সলো কনসার্টে মানুষ আসে একটি ব্যান্ডকে এক্সপ্লোর করতে। সে হিসেবে ব্যান্ডটির পর্যাপ্ত ম্যাচুরিটি থাকা উচিত। সলো কনসার্ট মানে দুই-আড়াই ঘণ্টা গান করতে হবে।

সুতরাং ততগুলো গানও থাকা আবশ্যক। এই কনসার্টে আমরা ২০টির বেশি গান করব। তো এ রকম সলো কনসার্টে আসার ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যান্ডেরই ১০-১২ বছর সময় নেওয়া উচিত।

কনসার্টের নাম ‘ধ্যান কেন?

আমাদের দুটি অ্যালবাম ‘রংমিস্ত্রি’ ও ‘ঘোড়া’।

যদি খেয়াল করেন, দেখবেন সেগুলোও কনসেপচুয়াল। ‘ঘোড়া’ অ্যালবামের সব গানেই ঘোড়া শব্দটি আছে। আমাদের মিউজিক্যাল জার্নির যেকোনো উপস্থাপনায় নিজস্ব চিন্তা রাখার চেষ্টা করি। এখন একক কনসার্টের সময় ‘ধ্যান’ নামটিই মানানসই মনে হয়েছে।

শুরু থেকেই আমরা খুব মনোযোগ সহকারে গান করে আসছি। আমাদের কাছে মিউজিক যতটা না এক্সাইটমেন্টের, তার চেয়ে বেশি কনসান্ট্রেশনের। মিউজিক আমাদের কাছে প্রার্থনার মতো। সে জন্যই ‘ধ্যান’ নামকরণ।

অন্য সব কনসার্টের তুলনায় এখানে ব্যতিক্রম কী থাকবে? 

সচরাচর অন্যদের আয়োজনে পারফর্ম করি।

সেগুলোতে সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকে। সংগীতের সঙ্গে সহজিয়ার যে সম্পর্ক, সেটার অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা জানাতে নিজেদের মতো পুরো আয়োজন সাজিয়ে এই কনসার্ট করা হচ্ছে। ধ্যানে আমরা নিজেরা যেমন মিউজিক নিয়ে ধ্যানস্থ থাকতে পারব, আবার শ্রোতারাও সেটা অনুভব করবে। আমার ধারণা, যারাই আসবে, ভালো লাগা নিয়ে যেতে পারবে।

সহজিয়ার শুরুটা কবে, কিভাবে?

২০১০ সাল থেকে ব্যান্ড গঠনের চিন্তা-ভাবনার সূত্রপাত। বছরখানেক পর ২০১১-তে আমরা পুরোদমে প্র্যাকটিস শুরু করি। অন্য সব ব্যান্ড যেভাবে গড়ে ওঠে, আমাদের শুরুটাও তেমনই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের পথচলায় খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে একসঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে, গাইতে গাইতে মাথা তুলে দাঁড়ানো। ঢাবির শিক্ষার্থীরাও আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। আমাদের ব্যান্ডে যাঁরা আছেন, সবারই চিন্তা-ভাবনার মিল রয়েছে। সংগীতটাকে প্রার্থনার মতো লালন করি। ফলে প্রথম অ্যালবাম থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সদস্যও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।

কোন গানটি দিয়ে সহজিয়াকে মানুষ চিনতে শুরু করল?

এ পর্যন্ত আমাদের দুটি অ্যালবাম ও কিছু সিঙ্গেলস মিলিয়ে ২৩টি গান প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে কোন গানটি দিয়ে মানুষ চিনেছে, তা বলা কঠিন। কারণ আমাদের একেকটি গান একেক শ্রোতার পছন্দের। আলাদা করে একটি গানের কথা বলা মুশকিল।

পরবর্তী অ্যালবাম কবে আসবে?

এখন আমরা ‘চিঠি’ অ্যালবাম নিয়ে কাজ করছি। এটি একটি অ্যাকুস্টিক অ্যালবাম। এর প্রথম ছয়টি গান একসঙ্গে এ বছরের শেষদিকে প্রকাশ করব। এরপর আরো ছয়টি গান আসবে।

সহজিয়ার দর্শন কী? মানে গানের মাধ্যমে আপনারা আসলে কী বলতে চান?

এই সময়ের মানুষের কথা বলতে চাই। প্রেম, দ্রোহ, ভালোবাসা, রাগ—মানুষের সব ধরনের স্বাভাবিক অনুভূতি তুলে ধরতে চাই। আমাদের গানগুলো দেখবেন অনেক রকম। কোনোটা সফট, কোনোটা হার্ডরক, কোনো গান সাইকোডেলিক আবার কোনো গান লোকজ ধাঁচের। নির্দিষ্ট কোনো জনরায় সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের সব অনুভূতি বা রং ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

LEAVE A REPLY