সংগৃহীত ছবি
ইকুয়েডরের গবেষকরা সম্প্রতি একটি বিরল প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেছে। ব্যাঙটি আবিষ্কারের পর যাতে এর অস্তিত্ব সংকটে না পড়ে তাই এর নাম রাখা হয় হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর নামে।
ব্যাঙটির নাম রাখা হয়েছে ফিলোনাস্টেস ডি ক্যাপ্রিওই। বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটি সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি অফ কুইটো (ইউএসএফকিউ), ইকুয়েডরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োডাইভারসিটি এবং ইকুয়েডরের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দ্বারা আবিষ্কৃত সাতটি নতুন প্রজাতির মধ্যে একটি।
ইউএসএফকিউ সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ইকুয়েডরের এল ওরো প্রদেশের ওয়েস্টার্ন মাউন্টেন ফরেস্টে এই নতুন বিরল প্রজাতির ব্যাঙ দেখতে পাওয়া গেছে। বাদামি রঙের এই ব্যাঙটির সারা শরীর কালো কালো দাগে ভর্তি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩০০ থেকে ১,৭০০ মিটার ওপরে থাকে এই উভচর প্রাণীটি।
হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও প্রথম সারির তারকা যিনি পরিবেশগত বিভিন্ন পদক্ষেপে গভীরভাবে যুক্ত রয়েছেন।
শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সালে পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতন বাড়াতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন।
ব্যাঙটির নাম অভিনেতার নামে নামাঙ্কিত করার অন্যতম আরও একটি কারণ হল অভিনেতার প্রচেষ্টায় ইকুয়েডরের ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্কে একটি বিতর্কিত তেল ড্রিলিং প্রকল্পকে বন্ধ করার প্রচেষ্টায় যুক্ত ছিলেন অভিনেতা।
তবে এই প্রথমবার নয়, ২০২৪ সালে হিমালয় আবিষ্কৃত একটি নতুন প্রজাতির সাপের নামও রাখা হয়েছিল অভিনেতার নামে। মধ্য নেপাল থেকে হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলার মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল এই সাপটি।
লকডাউনের সময় বীরেন্দ্র ভরদ্বাজ নামের এক ব্যক্তির উঠান থেকে এই সাপটি আবিষ্কার করা হয়। সাপটির নাম রাখা হয়েছিল অ্যাঞ্জোইকুলুস ডি ক্যাপ্রিওই।
লিওনার্দোর আগে আরেক হলিউড অভিনেতার নামে রাখা হয়েছিল এক বিরল প্রজাতি সাপের নাম। হলিউড অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের নাম অনুসারে আবিষ্কৃত সাপের প্রজাতির নাম রাখা হয়েছিল ট্যাকিমেনোয়েডস হ্যারিসনফোর্ডি।
এছাড়াও ২০১৭ সালে ডঃ স্যামি ডি গ্রেভ একটি বিরল প্রজাতির চিংড়ি আবিষ্কার করে তার নাম রেখেছিলেন সিনালফিয়াস পিঙ্কফ্লয়েডি।
কিংবদন্তি রক ব্যান্ড পিঙ্ক ফ্লয়েডকে সম্মান জানিয়ে এই নাম রাখেন ওই গবেষক।