মেয়েরা অনুশীলনে ফিরলে প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না বলে জানিয়েছেন বাটলার।
কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থেকে সরে এসেছেন জাতীয় দলের ১৮ নারী ফুটবলার। সাবিনা খাতুন-মাসুরা পারভীনদের বিদ্রোহ থেকে সরে আসার বিষয়টি আজ নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরন। সঙ্গে বিদ্রোহী ফুটবলাররা জানিয়েছেন, অনুশীলনে ফিরবেন তারা।
সাবিনা-মারিয়াদের অবস্থান থেকে সরে আসাটা স্বস্তির খবর হলেও পিটার বাটলার নিজের সিদ্ধান্তে এখনো অটল।
নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলারের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ইংলিশ কোচ। তিনি আশা করেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা ফুটবলারদের সঙ্গে তাকে কাজ করতে বাধ্য করা হবে না। মেয়েদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘এই ১৮ জনের মধ্যে কিছু খেলোয়াড় আছে, আমি যাদের ফুটবল দক্ষতার প্রশংসা করি এবং তারা দলের বাইরে এবং ভেতরে কিছু মানুষ, পুরুষ এবং মহিলা দ্বারা জোরজবরদস্তির শিকার হয়েছিল। যেখানে আমাদের অনূর্ধ্ব-২০ বয়সী এমন কঠোর পরিশ্রমী এবং নম্র খেলোয়াড় আছে, সেখানে আশা করি, আমাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী খেলোয়াড়দের সাথে কাজ করতে বাধ্য করা হবে না, আসুন আগামী কয়েক সপ্তাহের দিকে মনোনিবেশ করি।
’
কোচ হিসেবে তিনি সম্মান চেয়েছিলেন তা করা হয়নি বলেও আক্ষেপ ঝড়েছে বাটলারের কণ্ঠে। তবে বিদ্রোহীরা ফিরে আসলে প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন কোচ এবং বাবা এবং অনেক সাধারণ বাংলাদেশির মতো আমারও একটি মেয়ে এবং ছেলে আছে, আমি তাদের শ্রদ্ধাশীল এবং নম্র হতে শেখাই, সেভাবে লালন-পালন করি। আমি শুধু এটাই চাই যে আমাকে সম্মান করা হোক কিন্তু তা হয়নি, আমি বোকা নই এবং বুঝতে পারি যে কিছু ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য একটি গেম খেলা হচ্ছে। তবে আমি প্রতিহিংসাপরায়ণ বা খারাপ নই এবং আমরা জাতীয় দলের জন্য মূল্যবান ও সৃষ্টিশীল খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করব এবং সিদ্ধান্ত নেব।
’
এর আগে মেয়েদের বিষয়ে কিরন বলেছেন, ‘অনুশীলন শুরুর সময় সভাপতি, কোচ, মেয়েদের নিয়ে সভা করে যে ভুল-বোঝাবুঝি আছে সেটা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। একসঙ্গে অনুশীলন করবে সবাই, কেউ কারো সঙ্গে অসন্তোষ থাকলে ভালো কিছু হবে না। আজ আমাকে বলেছে যোগ দিয়ে চুক্তিতে সই করবে।’