ভুবনখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাসের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সংগৃহীত ছবি

‘চিঠঠি আয়ি হ্যয়, আয়ি হ্যায়…’ গানের ভুবনখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস পরপারের চিঠি পেয়ে না ফেরার দেশে চলে যান গতবছরের এই দিনে (২৬ ফেব্রুয়ারি)। মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।

১৯৮৬ সালে ‘নাম’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘বড়ে দিনো কে বাদ…চিঠঠি আয়ি চিঠঠি আয়ি হ্যায়…’ গানটিই তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তারপর ১৯৯১ সালে সঞ্জয় দত্ত ও মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ‘সাজন’ ছবির ‘জিয়ে তো জিয়ে’ও তার ক্যারিয়ারের অন্যতম হিট গান।

১৯৫১ সালের ১৭ মে ভারতের গুজরাটের জেটপুরে জন্ম পঙ্কজ উদাসের। কেশুভাই উদাস ও জিতুবেন উদাসের তিন সন্তানের মধ্যে পঙ্কজ ছিলেন সবার ছোট।বাবা সরকারি চাকরিজীবী হলেও দিলরুবা বাজাতেন। ছোট থেকেই সংগীতের পরিবেশে বড় হয়ে ওঠেন তিনি। ছেলেকে রাজকোটের সংগীত একাডেমিতে ভর্তি করান পঙ্কজ উদাসের বাবা। শুরুতে তবলার প্রশিক্ষণ নিলেও পরে গুলাম কাদির খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিতে শুরু করেন পঙ্কজ।

পরে গোয়ালিয়র ঘরানার জনপ্রিয় শিল্পী নবরং নাগপুরকরের কাছে তালিম নিতে মুম্বাই যান তিনি।

সিনেমার গানে পঙ্কজের অভিষেক হয় ‘হম তুম ওউর ওহ’ ছবির মাধ্যমে। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান, অ্যালবাম, ছবির গানে আশির দশককে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ। ‘চান্দি জ্যায়সা রঙ’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারোঁ সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, ‘নিকলো না বেনকাব’ পঙ্কজ উধাসের গাওয়া সব গজল আজও শ্রোতাদের মনের রসদ। 

‘নতুন রাজনৈতিক দলে আমি থাকছি না’

‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তার সুরের ঝুলিতে।

সারা জীবনে দেশ-বিদেশের একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পঙ্কজ উদাস। ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করে।

LEAVE A REPLY