সংগৃহীত ছবি
এটা সর্বজনবিদিত যে বিশ্ব সম্প্রদায়ে ভারতের উপস্থিতি তার কাঠামোগত পদ্ধতি এবং শক্তি দ্বারা চিহ্নিত; যার বৈশিষ্ট্য হলো শক্তিশালী অর্থনীতি, ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপদ বিনিয়োগের গন্তব্য এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ শিল্পকর্ম ও ঐতিহ্য।
তবে যে বিষয়টি প্রায়শই সবার নজরে পড়ে না তা হলো ভারতের বিশাল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানবশক্তি যা বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। এই উপস্থিতি কেবল অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে।
ভারতীয়রা বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা কেবল মাইক্রোসফট, গুগলের মতো শীর্ষ বহুজাতিক কম্পানিগুলোতে উচ্চপদে রয়েছেন তা নয়; বরং আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায়ও তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৃহত্তম উৎস ভারত। ২০২৩-২৪ সালে প্রায় ৩ লাখ ভারতীয় শিক্ষার্থী সে দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ব অর্থনীতিতে উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমেও ভারতীয়রা অবদান রাখছে। এফএমসিজি, অটোমোবাইল, প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করেন যে, ভারত তার প্রযুক্তিগত মানবশক্তির কারণে অনেকটা এগিয়ে গেছে।
ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ভারতীয় পেশাদারদের পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর এবং জার্মানিতে সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়, কারণ ভারতীয় তরুণরা উৎপাদনশীলতা, উদ্ভাবন এবং জটিল সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং রাখছে।
ভারতীয় প্রতিভার ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতি যত্ন নিয়ে অত্যন্ত দক্ষ এবং বিশেষায়িত মানব সম্পদের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে দেশটি। এটা প্রশংসার দাবি রাখে যে, ভারত সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের গতিশীল চাহিদা পূরণের জন্য সময়োপযোগীভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। গ্রিন টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিশ্বব্যাপী চাহিদা মেটাতে ভারত সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মনোনিবেশ করছে।
সূত্র : নিউজ বম্ব।