সংগৃহীত ছবি
শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গণশুনানি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। রাজধানীর বাংলামোটরে বিয়াম অডিটোরিয়ামে বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হয় এই শুনানি।
চলতি বছরের শুরুতে পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়াতে প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবের পর গ্রাহক পর্যায়ে খুচরায় গ্যাসের দাম বাড়নোর আবেদন করে তিতাস গ্যাস কম্পানিসহ সরকারি ছয়টি বিতরণ কম্পানি।
আবেদনে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং ক্যাপটিভের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়।
ছয় কম্পানি গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে এনেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গ্যাসের দাম বাড়ানো না হলে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে সরকারকে চলতি বছর বিশাল টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।দেশি গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে আসছে অর্ধেকের মতো। আর ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে জোগান দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে বলছে, প্রতি ঘনমিটার এলএনজির বর্তমান আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা।
এজন্য দামের পার্থক্য কমাতে গ্যাসের মূল্য বাড়াতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, দেশি গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ক্রমেই কমে যাওয়ায় শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সর্বাধিক প্রভাব পড়েছে। চাহিদা মেটাতে দেশি গ্যাসের সঙ্গে ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে এলএনজি আমদানির পরিমাণ আরো বাড়বে।
পেট্রোবাংলার প্রস্তাব পাওয়ার পর বিতরণ কম্পানিগুলোর কাছে প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দেয় বিইআরসি।পরে পেট্রোবাংলার নির্দেশনা অনুসরণ করে কম্পানিগুলো প্রস্তাব জমা দেয়। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এখন এসব প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে।