গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের পাশাপাশি আইন প্রণয়ন করে হলেও দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন দিতে হবে। এমন কোনো ভূমিকা নেওয়া যাবে না যাতে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়। কেউ বলছেন সংস্কার কেউ বলছেন নির্বাচন; অথচ কথা ছিল সংস্কার ও নির্বাচন হবে একসঙ্গে।
সোমবার ময়মনসিংহের একটি রেস্টুরেন্টে গণসংহতি আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা কি সেটিই আবার ফেরত চাইছি? আমরা সেটা আর ফেরত চাই না। আর ফেরত চাই না বলেই আমাদের আবার গণতান্ত্রিক পথ নিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি আন্দোলন সফল হওয়ার পরে, গণতান্ত্রিক রূপান্তরে একটা বিপ্লবী সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো। তখন সে কাজের মনোযোগের বদলে এটা ক্রেডিট নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল। এখন তো প্রায় দলীয়করণ করার একটা চেষ্টা। একদল মনে করছেন তারাই এ অভ্যুত্থান তৈরি করেছেন। এখানে যে জনগণের অবদান আছে, দেশের সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার অবদান আছে সেটা স্বীকৃত স্বীকার্য হিসাবেই থাক। দলের জেলা আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, জেলা সদস্য সচিব এআরএম মুসাদ্দিক আসিফ, নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব হাতেম রানা, গণঅধিকার পরিষদ নেতা রাহাত জাহান হোসেন, আলী ইউসুফ, আবুল কালাম আল আজাদ প্রমুখ।