বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর নতুন লক্ষ্যের কথা জানালেন তানজিদ

সংগৃহীত ছবি

বিকেএসপিতে আজ সোমবার পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বোলারদের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন তানজিদ হাসান তামিম। তার ৫৯ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে দলও জিতেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। মৌসুমের প্রথম সেঞ্চুরিতে উচ্ছ্বসিত তানজিদ ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।

প্রশ্ন : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জয়ের ধরনগুলো দেখা যাচ্ছে, জিতলে ব্যবধান বড় হচ্ছে।

এটা কি অভ্যাস হয়ে গেছে?

তানজিদ হাসান তামিম : এ রকম কিছু না। আমরা এই ম্যাচের আগেও পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে ছিলাম। এই ম্যাচে ছোট লক্ষ্য ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, লক্ষ্যটা যত তাড়াতাড়ি তাড়া করে ফেলা যায়।তাহলে আমাদের রান রেটও বাড়বে। যেটা টুর্নামেন্টের সামনের দিকে আমাদের দলের জন্য কাজে দেবে। তাই একটু মেরে খেলে দ্রুত ম্যাচটা শেষ করতে চেয়েছি।

প্রশ্ন : বেশ কয়েকটা ম্যাচে কাছাকাছি গিয়েও সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন।এই ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। কেমন লাগছে?

তানজিদ : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। আমি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি। উইকেটও অনেক ভালো ছিল। স্বাভাবিকভাবে বল অনেক সুন্দর ব্যাটে এসেছে।

আমি চষ্টো করেছি যে বলটা মারার অবস্থায় পাব, তা বাউন্ডারি মেরে দেব।

প্রশ্ন : বিপিএলে আপনি লিটন দাসের সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ওই ম্যাচে যে মেজাজে ব্যাটিং করেছিলেন, এই সেঞ্চুরিটিতেও সে রকম আগ্রাসী মানসিকতা দেখা গেছে। আপনার ব্যাটিংয়ের ধরনটাই কি এমন?

তানজিদ : ব্যাপারটা এরকম না। সব ম্যাচেই ইতিবাচক মানসিকতায় ব্যাটিং করার চষ্টো থাকে। এখন নতুনভাবে চেষ্টা করছি, ইনিংসের ভালো একটা শুরু পেলে সেটা কিভাবে বড় করা যায়। আজকে (গতকাল) তা করতে পারায় ভালো লাগছে।

প্রশ্ন : আমরা দেখছিলাম আপনার সঙ্গী সাইফ হাসান একটু রয়েসয়ে খেলছিলেন। ব্যাপারটা কি এ রকম ছিল যে আপনার সেঞ্চুরির জন্যই তিনি রক্ষণাত্মক খেলছিলেন?

তানজিদ : হ্যাঁ, সাইফ ভাইকে ধন্যবাদ। কারণ একটা সময় আমি মনে করছিলাম সেঞ্চুরিটা হবে না। কিন্তু সাইফ ভাই বলেছিলেন, আমি সেঞ্চুরি করতে পারব। আমাকে শুধু একটা কথাই বলেছেন, কোনো বাউন্ডারি মারবেন না। সিঙ্গেল নিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দেবেন আর আমি আমার সহজাত খেলাটা খেলব।

প্রশ্ন : ভালো শুরুর পর মাঝে আপনাদের দল বেশি ভালো করতে পারেনি। এখন আবার জয়ে ফিরেছে। শিরোপার স্বপ্ন কি এখনো দেখছেন?

তানজিদ : হ্যাঁ, অবশ্যই। দলের সবাইও এমনই চিন্তা করছে। প্রত্যেকটা ম্যাচই এখন গুরুত্বপূর্ণ। আর ঈদের পর সবাই মানসিকভাবে সতেজও আছে।

LEAVE A REPLY