ছবিসূত্র : এএফপি
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলের বিদ্রোহীরা ১৭ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা ছদ্মবেশী (সোনার খনির শ্রমিক) সামরিক সদস্য ছিলেন বলে বিদ্রোহীরা আজ বৃহস্পতিবার দাবি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা দুইজনকে জিম্মি করে রেখেছিল।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফ্রেগা ওয়েনাস সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই এলাকায় ১১ জন অবৈধ খনি শ্রমিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং তারা সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না।
এটা বিদ্রোহীদের প্রচারণা।
পৃথকভাবে, বৃহস্পতিবার পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এলাকার ৩৫ জনকে অন্য জেলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুই বাসিন্দা এখনও বিদ্রোহীদের হাতে জিম্মি রয়েছে।
পাপুয়া বিদ্রোহীদের মুখপাত্র সেবি সাম্বম এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিদ্রোহীরা ৬ এপ্রিল থেকে ১৭ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।তিনি দাবি করেছেন, নিহতরা সোনার খনির শ্রমিকের ছদ্মবেশে সামরিক সদস্য ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘যদি ইন্দোনেশিয়ার সরকারি সেনাবাহিনী আমাদের তাড়া করতে চায়, তাহলে দয়া করে ডেকাই শহরে আসুন। আমরা শহরে আছি।’
১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত একটি ভোটে বিতর্কিতভাবে সম্পদ সমৃদ্ধ পাপুয়া অঞ্চলকে ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আনার পর থেকে, স্বাধীনতার জন্য পাপুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফ্রেগা বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এই আক্রমণ সবচেয়ে মারাত্মক ছিল। ২০১৮ সালে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এনডুগার উচ্চভূমি এলাকায় ২১ জন রাস্তা নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা করেছিল।
সূত্র: রয়টার্স