অসুস্থতার মাঝেও শামিল হয়েছিলাম দর্শকের কাতারে

শহীদুজ্জামান সেলিম

গুণী অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। ছোট পর্দা তো বটেই, বড় পর্দায়ও এখন অপরিহার্য মুখ তিনি। সিনেমায় সাম্প্রতিক বছরে শহীদুজ্জামান সেলিমের ব্যস্ততা বেড়েছে। নির্মাতারা যে তার ওপর আস্থা রাখছেন, ছবির সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে।

ঈদের আলোচিত তিন ছবিতেই (‘বরবাদ’, ‘দাগি’ ও ‘জংলি’) আছেন তিনি। গুণী এই অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ। 

ঈদের সবচেয়ে আলোচিত ও সফল তিন ছবিতেই আছেন। নিশ্চয়ই ঈদটা দারুণ কাটল?

ঈদে অনেক অসুস্থ ছিলাম।ঠাণ্ডা-কাশিতে ভুগেছি। ফলে ঈদটা ভালো গেছে সেটা বলতে পারব না। তবে হ্যাঁ, ঈদে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, ছবিগুলো দারুণ ব্যবসা করছে। অভিনেতা হিসেবে ভালো লাগা তো আছেই।

আত্মতৃপ্তিও আছে। দর্শক ছবিগুলো দেখছে, তাদেরও ধন্যবাদ।

তিনটি ছবি নিয়ে আলাদা করে শুনতে চাই। ‘বরবাদ দিয়ে শুরু করি। ছবিতে আপনার চরিত্র কেমন? ওভারঅল অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

‘বরবাদ’-এ আমার চরিত্রটি ছোট।

তবে যেটুকু আছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ বলেই ছবিটি করেছি। ‘বরবাদ’ বড় বাজেটের ছবি, বড় আয়োজনের ছবি। শাকিব খান আছে, ঈদে সবচেয়ে বেশি হলে মুক্তি পেয়েছে। রেসপন্সও বেশি পাচ্ছি, এই তো।

দাগি আপনার মনে কতখানি দাগ ফেলেছে?

আমার কাছে গল্প শুনে ভালো লেগেছিল বলেই তো ছবিটি করেছি। এখন কথা হলো দর্শকের কেমন লেগেছে। এখন পর্যন্ত ঈদের এই একটি ছবিই হলে গিয়ে দেখেছি। অসুস্থতার মাঝেও শামিল হয়েছিলাম দর্শকের কাতারে। ছবির সঙ্গে দর্শকের কানেকশনটা সরাসরি দেখেছি। অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করেছে।

আর জংলি? ছবিটার মানবিক আবেদন নিয়ে অনেকের মুখেই প্রশংসা শোনা যাচ্ছে।

চরিত্র কেমন বলে দিলে তো হলো না। দর্শক হলে গিয়ে দেখুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জংলি’র যে রিভিউগুলো আসছে, সেগুলো পজিটিভ। সিয়াম, বুবলী, দীঘির পাশাপাশি বাচ্চাটাও (শিশুশিল্পী) দারুণ অভিনয় করেছে। আসলে সিনেমা তো এমনই হওয়া উচিত। বিনোদনের পাশাপাশি সমাজের প্রতি একটা ম্যাসেজ থাকবে। যেটা থেকে মানুষ শিখবে।

বরবাদ ও জংলি হলে গিয়ে দেখবেন না?

দেখার ইচ্ছা তো অনেক। অথচ টিকিট পাচ্ছি না। দেখি, টিকিট সংকট কাটলে তখন দেখব।

সিনেমা ছাড়া ঈদে আর কিছু এসেছে?

না। আর কিছু করার সময় পেলাম কই? ঈদের আগে টানা শুটিং হয়েছে ‘বরবাদ’ ও ‘দাগির। এর মধ্যে আবার ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’-এর নির্বাচন ছিল। বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছিল, করতে পারিনি ব্যস্ততার কারণে।

এখন আবার রায়হান রাফীর তাণ্ডব করছেন। এখানে আপনার চরিত্র কেমন?

চরিত্র কেমন, গল্প কেমন—এগুলো আগে বলা যেত, এখন বলা যায় না। চুক্তির সময়ই নিষেধ থাকে। এ পলিসিটা দারুণ। দর্শকের উৎসাহ বাড়ে, আগ্রহ বাড়ে। শুধু এটুকু বলতে পারি, ‘তাণ্ডব’ আরো বড় পরিসরের ছবি, আরো ভালো গল্পের ছবি। দর্শকের ভালো লাগবে।

আর কোনো ছবি বা সিরিজে বর্তমানে যুক্ত আছেন?

আপাতত নতুন আর কোনো কাজ হাতে নিইনি। ঈদ তো মাত্র শেষ হলো। তা ছাড়া ‘তাণ্ডব’-এর শুটিংও আবার শুরু হবে দু-এক দিনের মধ্যে। এটা শেষ না করে তো অন্য কিছু হাতে নিতে পারছি না।

ডিরেক্টরস গিল্ড-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির হয়ে নতুন কী কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন?

এখন আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে কাজ করছি। বড় আয়োজনে বাঙালির এই বিশেষ উৎসব আমরা পালন করতে চাই। দিনটিতে শিল্পী-পরিচালকদের মিলনমেলা তৈরি হবে—এমনটাই আশা করছি। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক হবে এটাই চাওয়া।

LEAVE A REPLY