মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্ক বেড়ে ১২৫ শতাংশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপানো শুল্কের বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। দেশটি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

গত বুধবার চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল।

এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশ দুটির বাণিজ্যযুদ্ধের প্রকৃতি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠল। যুক্তরাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, চীন তার পাল্টা পদক্ষেপই নিচ্ছে বারবার।

চীন জানিয়েছে, এরপর যুক্তরাষ্ট্র আবার পাল্টা শুল্ক দিলে তারা আর কোনো শুল্কের জবাব দেবে না।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রাসী শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মধ্যে চীন নতুন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিল।

বেইজিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ‘অস্বাভাবিক উচ্চ শুল্ক’ আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বাণিজ্যনীতি, মৌলিক অর্থনৈতিক আইন এবং সাধারণ বিচার-বিবেচনার গুরুতর লঙ্ঘন করেছে।এটি সম্পূর্ণরূপে একতরফা গুণ্ডামি ও জবরদস্তি।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা বেশির ভাগ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই দিন চীনের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি, যা পূর্বে আরোপিত ২০ শতাংশের সঙ্গে যোগ হয়ে ৫৪ শতাংশে দাঁড়ায়।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন ৩ এপ্রিল চীন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ বাতিল করার আহ্বান জানায় এবং পরদিন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।

শুল্ক স্থগিত করার জন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ চিঠি দিলে গত ৯ এপ্রিল বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশের ওপর আরোপ করা নতুন শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

তবে চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক স্থগিত করেননি। বরং নতুন করে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন তিনি। 

LEAVE A REPLY