বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি মেটা চীনের সঙ্গে গোপনভাবে সেন্সরশিপ ইস্যুতে কাজ করেছে-এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের শুনানিতে ফেসবুকের সাবেক গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর সারাহ উইন উইলিয়ামস বলেন, চীনে বিশাল বাণিজ্য গড়ার আশায় মেটা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছে। তিনি দাবি করেন, মেটার কর্তাব্যক্তিরা চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে মার্কিন নাগরিকদের তথ্য ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে এবং সেন্সরশিপ টুল তৈরি করে চীনা ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধে সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত চীনা সমালোচক গুও ওয়েংগুইয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চীনের চাপে মুছে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন উইলিয়ামস।
এদিকে, মেটা মুখপাত্র রায়ান ড্যানিয়েলস এসব অভিযোগকে ‘বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন ও মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘চীনে আমরা কোনো পরিষেবা পরিচালনা করি না।’ যদিও মেটা চীনভিত্তিক বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে রাজস্ব আয় করে থাকে। শুনানির নেতৃত্ব দেন মিসৌরির রিপাবলিকান সিনেটর জশ হাওলি।
তিনি বলেন, ‘এমন গুরুতর অভিযোগের পরও মেটা কোনো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’ প্রযুক্তি জায়ান্টদের নীতিনির্ধারণ ও নিরাপত্তা ইস্যুতে এ শুনানি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিয়ে।