জেমস ক্যামেরন
অস্কার পাওয়া কালজয়ী সিনেমার কথা উঠলেই প্রথমেই চলে আসে ‘টাইটানিক’ সিনেমার কথা। আর টাইটানিকের প্রসঙ্গ উঠলেই চোখে ভেসে ওঠে হলিউডের বর্ষীয়ান নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের কথা। হলিউডে সিনেমার ধারা বদলে দিয়েছিলেন জেমস ক্যামেরন। সিনেমায় যখন চলতি ধারা অনুসরণ করা হচ্ছিল, তিনি সেখান থেকে সরে গিয়ে এতে যুক্ত করেন প্রযুক্তি।
আজও তিনি ‘টাইটানিক’-এর জন্য বেশি পরিচিত। কিন্তু ‘জওস’, ‘টার্মিনেটর’, ‘এলিয়েনস’ তারই কীর্তি।
সর্বশেষ ক্যামেরন সবাইকে অবাক করেছেন ‘অ্যাভাটার’ ফ্ল্যাঞ্চাইজি দিয়ে। ২০০৯ সালে এ সিনেমা হলিউড সিনেমার মানচিত্র বদলে দিয়েছিল।এরপর ২০২২ সালে ‘অ্যাভাটার : দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ ছিল আরো এক ধাপ এগিয়ে। হলিউডে প্রযুক্তির ছোঁয়া রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যান এ নির্মাতা। সাম্প্রতিক সময়ে দুনিয়া মজেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়। সিনেমাতেও হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তুমুল ব্যবহার।তবে ক্যামরনের মতে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভাবতে হবে সবাইকে। কারণ ২০ বছর পর অস্কারও পেয়ে যেতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
বাড়িতে ঢুকে সালমান খানকে হত্যার হুমকি
সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রায়ই মন্তব্য করছেন ক্যামেরন। সম্প্রতি তিনি অংশ নিয়েছিলেন ‘বজ টু দ্য ফিউচার’ পডকাস্টে। সেখানেই তিনি ফের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কথা বলেন।
সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়েও কথা বলেন এ নির্মাতা। এআই প্রযুক্তির কারণে এখন কর্মী কমানো হচ্ছে হলিউডে। সে ক্ষেত্রে ক্যামেরনের মত হলো, কর্মী কমালে সেখানে কর্মঠ ও অভিজ্ঞ কর্মী নিয়ে কাজ দ্রুত করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে বলেন, ‘এখন মনে করা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এলে তা সাধারণ মানুষের চাকরি খেয়ে দেবে। কিন্তু আমার মনে হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারটা অন্য রকম হওয়া উচিত। সে মানুষকে বাদ দেবে না, বরং মানুষকে সাহায্য করবে।’ তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে অনেক কাজই করতে পারে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই ক্যামেরনের। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে ২০ বছর পর সেরা চিত্রনাট্যের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অস্কার পেতে পারে। বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত আমাদের।’
দুই প্রাক্তনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ক্লোয়ি কার্দাশিয়ানের
পডকাস্টে সিনেমার বাজেট নিয়েও কথা বলেন এ নির্মাতা। ক্যামেরন চেষ্টা করছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সিনেমার বাজেট কমাবেন। তিনি বলেন, ‘আগের দিনে হলে আমি কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতাম সমাধানের। এখন মনে হয় এর বাইরেও কাজটা করা যায়। আমি কখনো বহু টাকা কামানোর চিন্তা করিনি। সব সময় চেয়েছি কেমন করে সিনেমাটা ঠিকঠাক নির্মাণ করা যায়। এখন সবাই ভিএফএক্স নিয়ে ভাবছে। সেখানেই খরচ বেড়ে যাচ্ছে।এখন যে সিনেমাগুলো নির্মাণ করা হয়, কমবেশি সবাই সিজিআইনির্ভর। ডুনের দুই পর্ব দেখেছি আমরা। এমন সব সিনেমায়ই কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ ব্যবহার হয়। খরচও বেড়ে যায় অনেক। এ জায়গায় আমরা খরচ কমাতে পারি। কেমন করে সেটা করা যায়, তা নিয়েই ভাবতে হবে। বাজেট কমালে ব্লকবাস্টার পাওয়া সহজ হবে।
শাহরুখ খানের বাড়িতে থাকার সুযোগ, এক রাতের ভাড়া কত?
সামনে ক্যামেরন নিয়ে আসছেন ‘অ্যাভাটার : ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সিনেমাটি নিয়ে এরই মধ্যে দর্শকমহলে সাড়া পড়ে গেছে। এটি অ্যাভাটার ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। ২০০৯ সালের প্রথম অ্যাভাটার ও ২০২২ সালের ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’—দুটি সিনেমাই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে।