উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে এক নারীর জোর করে হিজাব খুলে দেওয়া হয়েছে এবং তার সঙ্গে থাকা হিন্দু পুরুষ সঙ্গীকেও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন পুরুষ জোর করে নারীর হিজাব খুলে ফেলছে। অন্যরা তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা পুরুষকে গালিগালাজ, হয়রানি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
মুজাফফরনগরের খালাপার এলাকার একটি গলিতে এই ঘটনাটি ঘটে। ২০ বছর বয়সি নারী ফারহিন এবং শচীন নামে এক ব্যক্তি ঋণের কিস্তি তুলতে যাচ্ছিলেন। খালাপারের বাসিন্দা এবং উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স লিমিটেডের কর্মচারী ফারহিন, তার মায়ের নির্দেশে শচীনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পথে, ৮-১০ জন পুরুষের একটি দল তাদের ঘিরে ধরে। এরপরই ফারহিন ও শচীনকে লাঞ্ছিত এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ।
পুরো ঘটনাটি একজন পথচারী মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন এবং পরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়। যা তাৎক্ষণিকভাবে আম আদমির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং দুজনকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। ফারহিনের অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
মুজাফফরনগর সিটি সার্কেল অফিসার (সিও) রাজু কুমার সাও বলেন, ‘১২ এপ্রিল, আনুমানিক ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে, ভবন এলাকার একজন হিন্দু পুরুষ এবং খালাপারের একজন মুসলিম নারী উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত, ঋণের কিস্তি আদায় করে সুজদু থেকে ফিরছিলেন। দরজি ওয়ালি গলিতে স্থানীয় কিছু লোক তাদের থামিয়ে মারধর করেন।
সিও রাজু কুমার সাও বলেন, ‘ভিডিও থেকে আরও লোককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, তারপরই গ্রেফতার করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’