দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার। ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ‘একরোখা নেতা’ হিসেবে পরিচিত দিলীপ ঘোষ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। ৬১ বছর বয়সে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। পাত্রী তার রাজনৈতিক সহকর্মী, বিজেপির নারী মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার।
বিজেপি করার সূত্রেই আলাপ দুইজনের।
দিলীপের ঘনিষ্ঠমহলের বক্তব্য, গত লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর দিলীপ যখন খানিক বিষণ্ণ, তখন রিঙ্কুই প্রথম একসঙ্গে সংসার বাঁধার প্রস্তাব দেন। রিঙ্কু বলেন, ‘দিলীপদাকে অনেকদিন ধরেই চিনি, ভালোও লাগে। গত সেপ্টেম্বর মাসে আমি প্রথম তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেই। তিনি ভাবার জন্য তিন মাস সময় নিয়েছিলেন।
’
‘চিরকুমার’ তকমা বহন করা দিলীপ ঘোষের এই বিয়েকে ঘিরে বিজেপির অন্দরেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। বিয়ের খবরে দলীয় নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তবে অনেকেই এটিকে দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিজীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছেন।
দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দিলীপ, যেখানে শপথ নিয়েছিলেন তিনি বিয়ে করবেন না। ২০১৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং ২০১৫ সালে হন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার সভাপতি।
তার নেতৃত্বেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পেয়ে রেকর্ড গড়ে বিজেপি। এই বিয়ে নিয়ে দিলীপ ঘোষ কোনো মন্তব্য করেননি।
বিয়ের পাকা পাকা কথা গত ৩ এপ্রিল ইডেনে আইপিএলে কেকেআরের ম্যাচ দেখতে দেখতে হয় বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওই দিন ক্লাব হাউসের ১১ নম্বর বক্সে বসে খেলা দেখেন দিলীপ, তার হবু স্ত্রী এবং হবু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবারেই দিলীপের আসন্ন বিবাহের বিষয়টি জানাজানি হতে শুরু করেছে।
সরাসরি তাকে প্রশ্ন করেছিল একটি সংবাদমাধ্যম। দিলীপ বলেন, ‘কেন, আমি কি বিয়ে করতে পারি না নাকি? বিয়ে করা কি অপরাধ নাকি?’ ওই সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ ‘হ্যাঁ-না’ কিছুই বলেননি। সেই কারণেই বিষয়টির সত্যতা জানতে দিলীপকে ফোন করেছিল আনন্দবাজার ডটকম। তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি।
তবে দিলীপের ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, বরাবরের মতোই তিনি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে দিলীপের হবু স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের। তার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত।
সূত্র : আনন্দবাজার