এবারও ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’র আওতায় সেবা পাবেন হজযাত্রীরা

এ বছরও বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া যাত্রীরা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের’ অধীনে সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার। 

রাজধানীর এক হোটেলে সোমবার সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এ কথা বলেন।  

নূরুল আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আজ দ্বিপক্ষীয় সভা ছিল। সভায় আমাদের দেশ থেকে যারা হজ করতে যান, তাদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাতে করে তাদের গমনাগমন সুগম হয় এবং তারা যাতে ঝামেলা ছাড়া যেতে পারেন।

তিনি বলেন, একটি হল সৌদি আরবে হজযাত্রীরা পৌঁছার পরে সে দেশের বিমানবন্দরে যে ইমিগ্রেশন হয়- সেটা আসলে বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ত্যাগ করার আগেই সম্পন্ন হয়ে যায়। আরেকটি হলো হজযাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা একটি স্মার্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে তারা হ্যান্ডেল করে। লাগেজ আমাদের এখানে হাজিক্যাম্পে স্থানান্তর হয়, তারপরে লাগেজটা তারা হ্যান্ডেল করে হাজিদের গন্তব্যে। অর্থাৎ, তারা যে হোটেলে ওঠেন, সে হোটেলের লবিতে তারা পৌঁছে দেন। প্রতিবারের মতো আমাদের হাজযাত্রীরা ইমিগ্রেশন ক্রস করে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে ঝামেলাবিহীনভাবে লাগেজ তাদের কাছে পৌঁছাবে।

ভিসা জটিলতাসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, ভিসার কোনো সমস্যা ছিল না। এটা ছিল মূলত বাড়ি ভাড়ার সমস্যা। বাড়ি ভাড়া না হলে কেউ ভিসার আবেদন করতে পারে না। আজ সকাল পর্যন্ত আমাদের শতভাগ হজযাত্রীর বাড়িভাড়া শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ হাজারের মতো ভিসা অনুমোদন হয়েছে। এবারও বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন, বোর্ডিং এবং চেক ইন হজক্যাম্পে হবে এবং সৌদি আরবের প্রি-অ্যারাইভালটা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হবে।

LEAVE A REPLY